সন্ধ্যাবতীর উঠানে জোছনার উঁকি


==রৌদ্র তাপ


জ্যৈষ্ঠের প্রখর রৌদ্র তাপে
সন্ধ্যাবতীর পথের ধুলো,
হাঁড়িতে মুড়ি ভাজার বালি মতো
টগ বগ করে ফুটে;
গাছের সবুজ পাতারা মুর্চে পরে
কুঁকড়ে থাকে লজ্জাবতী


ডবার জল তলানীতে ঠেকেছে
হেলেঞ্চার দল সুকনা কাদা জলের পাঁকে
তাতানো জলে;
এক ঝাঁক হাসের ছানা জলকেলীতে মত্ত
বালুয়াড়ী বাতাস!
ডবার জলে মিহি ঢেউ খেলে যায়


==সন্ধ্যাবতীর উনুন


সন্ধ্যাবতীর উনুন চালে
ধুঁয়া উঠে ভরদুপুরে, কালচে ধোঁয়া আকাশ ময়
রোদ্র তাপে খেলা করে।


উনুন চালে চালকুমড়া
গায়ে মাখে সাদা চুন, রৌদ্রে পোড়া পাতা ডগা
শুভ্র সাদা ধুঁয়ায় ঢাকে।


কুয়া তলায় আতা গাছ
মরা পাতায় খস খস, পাতকুয়ায় নাইরে জল
সবুজ বেল ঝুলে নাঙা গাছে।


===আকাশে চেয়ে চাতক ধিয়ান


সন্ধ্যাবতীর নরম গায়ে এখন
পলিমাটির গাঢ় রং এর ফাটল
হেমন্ত বেলায় নেমে যাওয়া জলের চিহ্ন
ধূসর অভিমানের ছাপ আঁকে; যাতনা সহে তৃঞ্চার
প্রখর রৌদ্র তাপে মেঘ পালিয়েছে
আকাশের নিলাভ মাধুকরী ছুঁয়ে বাঁচে।


প্রখর রৌদ্র তাপ পতিত আকাশের নীল
সে কি এক বর্ণিল মুর্চ্ছনা!
ঝকমক তৃঞ্চার আকুলতায় মজে
মরে যাওয়া খাল! পাড়ে নল খাগড়ার বন
এখন মুর্চ্ছাগত, মৃত্তিকার রস বিনে মরতে বসে
আকাশে চেয়ে চাতক ধিয়ান।


=====সন্ধ্যাবতীর উঠানে জোছনার উঁকি


প্রখর রৌদ্র তাপে বির্মষ সন্ধ্যাবতীর বিরহী সাঁঝ
দিনমান কোলাহল ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে বিবস
সন্ধবতীর পথের ধুলোয় নিরবতা নামে নির্লিপ্ত
কদাচিত পথিকের পথে দ্রুত লয়ে চলে যাওয়া।


বাঁশঝাড়ে হাওয়ার বন্যতার উঁকি হাওয়ার দোল
সুবোধ সাদা বক আঁধার সাঁঝে বাঁশে ডগায় দুলে
আঁধার সাঁঝে তারাদের উঁকি সন্ধ্যাতারা শুকতারা
সাঁঝ পেরুলেই সন্ধ্যাবতীর উঠানে জোছনার উঁকি।


সন্ধ্যাবতীর উঠোন খটখটে চকচকে সজনে পাতা ঝরা
জোছনা উঁকি দেয় সজনে পাতায় উনুন চালে বাঁশবনে
উঠানে উঠানে সজনে পাতার জোছনা ছায়া যেন জলছবি
বাঁশবনে পাতার ফাঁকে জোছনা লুকোচরি স্বপ্ন আঁকে।


১৪২৫/ জ্যৈষ্ঠ/গ্রীষ্মকাল।