--------কস্তুরী ঘ্রাণ ছুটে একা একা


না দেখা রয়ে গেল সব!
পথে পথে, পথের বাঁকে অগোচরে দূরে, বহুদূরে
দিগন্তের ও পাড়; স্পষ্ট বুঝা যায় না কিছু
চশমার কাঁচ ঘুঁষে বইয়ের পাতার পৃষ্ঠা উল্টানোর মতো
বড়ই দূর বদ্ধ। আকাশ ছোঁয়ার মতো
<>
চেনা তো হল না কখনো? দেখাও হয়নি আজও;
শঙ্খচিলের উড়ার পথ। এঁকে বেঁকে বাতাস খেলে যায়
পিছনে তার পথের নিশানা মিশিয়ে যায়, মিলিয়ে যায়
বাতাস রং খেলে; খেলে পাশা দ্রোহে
উদাস বড়ই, উদাসিনই নন্দন হরা
একেলা ঐ, শঙ্খচিল আমারই মতো বোকা!
একলা পথে চলে একা একা
বিরহ বিদ্রূপ সয়ে কার সখা? কস্তুরী ঘ্রাণ ছুটে একা একা
আমারই তো অবোধ বোকা;
ডুবে থাকে নন্দন হরা, ডুবে সাঁঝের কাল;
ডুবে যায় আঁধার পৃথিবী, ক্রান্তি কাল মুখ লুকায়
না দেখা রয়ে গেল কত কি?
পৃথিবীর অপার সুখ রহস্য রইল লুকিয়ে
কোন সে আঁধারে? শুধুই ধাবিত যাতনা প্রদাহ লয়ে
কেমনে রইনু বেঁচে এমন আঁধার কালে?
<>
নীলাকাশে ঐ, শঙ্খচিলের পথের ছক আঁকা
মেঘের কঙ্কাল উঠে ভেসে, উপবাসির তৃঞ্চনা কথা
অগোচরে রইল পড়ে কতো কতো ফাঁকি?
আমি যে তারই মতো সর্বনাশের পথে হাঁটি।


১৪২৬/১১-আষাঢ়/বর্ষাকাল।