কার্নিশে ঝুলে ছিল আকাশ


___কার্নিশে ঝুলে ছিল আকাশ
কার্নিশে ঝুলে ছিল আকাশ
তোমার অভিমান দেখবে বলে!
বেলা যখন পড়ে এলো-;
তন্দ্রামাখা মুখ নিয়ে দাঁড়ালে বারান্দায়
বিরহের সুত্র খুঁজতে দেরি হয়নি তার!
এলোকেশে বালিশের গা ঘেঁসা দাগ
তোমার টোল পরা গালে
এখনো জ্বল জ্বলে; টিপটা
একটু উপরে উঠে গেছে এই যা'
এ যে নিত্য বে'দৌরা বেশভূষার চিহ্ন
মুগ্ধ হয়ে আকাশ চেয়ে ছিল।


____অনাহারি রাতের মতো
অভিমানে তো, পেরোল দু' দুটো যুগ
আহ্নিকগতির অহমিকা আক্ষেপ জুড়ে  
শতরঞ্জির রং এখন ধূসর বর্ণ ধারন করেছে
একসময় বাহারি রং ছিল বেশ জমপেস।


অনাহারি রাতের মতো ক্ষুধার্থ্য জমকালো আঁধার
যখন জেঁকে বসে সদ্য পৃথিবী সমেত; আনকড়া
বিদ্রুপ যে জেগে উঠে বারং বার সন্তাপে
কবিতার খলস পরে কখন যে বেরিয়ে পড়ে
আত্মহননে প্রথিত প্রথা ভেঙে দিতে চায়
পুনঃ পুনঃ গ্রহন লাগা রাতের দ্বিপ্রহে।


____রংবদলের পাড়ে
রংবদলের পাড়ে
দিগন্ত বার বার ফিরে আসে
তোমারি কাছে!
আশ্বিনের মহুয়া টান;
কোজাগরি জোছনার বেহাল্লাপোনা
তুমি বার বার আচম্বিতে ফিরে যাও
অতীত কোলাহলে।


সময় তো পেরিয়ে গেছে যুগ বিড়ম্বনায়
তাই তো এর কি বা প্রয়োজন?
এমন নিদর্য় ঢলে পড়া বেলায়
যা হয়নি পাওয়া, তার কিবা আশ্ফলন!
নিত্য বেলোয়ারি কোলাহলে।


_____নির্মলা
ঐ যে, ঐ পথে তোমার নন্দন পায়ের ছাপ এখনও আঁকা আছে। তুমি যে ছিলে নির্মলা। অর্নব অপসরী। তাই তো সেই ছাপ তোমারি, সবুজ ঘাসের আচ্ছাদনে ঢেকে রাখে নিমিত্তের আবরণে। কি জানি কি ভেবে আশ্বিনের জেগে উঠা পথে, তোমার চঞ্চল চলায় বেহুলার গীত বাজে। কালে কালে সব ইতিহাস গেয়ে উঠে, কিন্তু নির্মলা, তুমিই রইলে পরে কোন সে সূ-দূরে? এই পথ মাড়াবে কি কোন আবহনে?


______যদি আসো ফিরে আশ্বিনে
যদি আসো ফিরে আশ্বিনে; ভাঙা চাঁদের জোছনা বাহার
আমলকি বন যেন কিন্নরি সাজে; পুকুরের শান্ত জল
জোছনা ছোঁয়ায় নড়ে চড়ে উঠে; হাওয়ায় মাখা ঢেউ প্লাবন
যেন জল উতলায়; যেমন জোয়ারে নদীর তীর ভাসায়
পুকুরের শান্তজলের ঢেউ; জোছনা ছোঁয়ায় ঝিকমিক করে
যেন জলে আয়না বসানো! হালকা কুয়াশার রাত্রি
বাতাসের সজাগ পাহারায় রাত উজান ঠেলে; গভির হতে গভিরে
প্রত্যার্বতনে সরব হয়ে উঠে; ভিজাবে তোমায় কুয়াশা মাখা হাওয়া।


১৪২৪/২৩, আশ্বিন/শরৎকাল।