যা ইচ্ছা তাই


যা ইচ্ছা তাই
তোমার মৌনতা বিছানো উঠানে;
সে রাতের কোজাগরি চাঁদ হরণ করে ছিল, সজনে দানি
সদ্য ভিজে ছিল শ্রাবণ জলে সজনের পাতা, শরীর
কদাচিত ডালিম তলায় চড়ুই খুনসুঁটি।
চারিদিক শ্রাবণের ছেঁড়া মেঘের উড়া উড়ি
মেঘের চাতালে মেঘ কৃঞ্চ কালো বরণে
অন্তপুরে ভেজা মেঘের শীতল হাওয়া কুন্তুল
কলার মোচায় বেগুনী ধূসর গায়ে বৃষ্টির ফোটা।


পুবে তাকালে যখন আনারি মেঘের খন্ড খন্ড দলছাড়া
কইতরের ঝাঁক মিলেছে ঐ মেঘ অরন্যে;
চেয়ে দেখলে, চোখ ফিরে আবার উঠান মূর্চ্ছনায়
এই এসে গেলো বুঝি ঝর ঝর বৃষ্টি লগ্ন!
থেমে গেছো, এখনো হাতের মুঠোয় আধেক শুকনা কাপড়
বিমূর্ত হাওয়া তোমায় কাঁপিয়েছে বটে
তবুও চেয়ে ছিলে মেঘে মেঘে কোন সে পরতের খোঁজে?
আধেক বৃষ্টিতে ভিজে আচানক এক মৌনতা বিভ্রুম!
অতীত কোন কৃঞ্চলোহরী; শুধু যা ইচ্ছা তাই


১৪২৫/শ্রাবণ/বর্ষাকাল।