তুমিও জেগে ছিলে


উল্কি আঁকে_____
আশ্বিনের রথ টানছে দ্যাখো
সাদা সাদা মেঘমোল্লার দল
কেতকী অভিমানে উড়ে যায়
বেলা শেষে! তোমার বিরহী আঁচল ছুঁয়ে।
উদাস নেত্রে চেয়ে ছিলে বলে
কাশবন বিরহী পাঁপড়ি ছড়ায় বাতাসের গায়ে
উল্কি আঁকে! আকাশ যে তোমারি জলছবির
দিগন্তের বাতায়নে।


ঘাসফুড়িং সবুজ ঘাসে বিছায়েছে সম্ভার
লজ্জাবতির অঙ্গ ছুঁয়ে; তোমার স্মৃতি আকুল
অভিমানের অনলে পুড়ে
একটু খানি চুপসে যাওয়া গরলে বাঁচা।


জলমাকড়ষা____
ডুব সাঁতারে পদ্ম তুলতে, অমোঘ আঁধার ছুঁয়েছিল তোমারি হিয়ালি। এইটা নয় ঐটা, এমনি করে ইশারায় মুশগুল ছিল জলমাকড়ষা। জলের উপর ছায়ায় দেখে মাছ বার বার গিলতে চেয়েছে। পালিয়েছে জলের উপর ঘোরদৌড় যেন। পদ্মপাতায় বসে চুপিসারে, ঢেউ দোলানিতে দোল খায় মৃদ আষ্ফলনে। ডুবসাঁতার হতে জেগে উঠে, তুমি নেই আর পদ্মদলে।


তুমিও জেগে ছিলে______
সে দিন আশ্বিনের সাঁঝ ঘোনালে
জোছনাদের মধ্যন্নভোজ রাতের অপরাহ্নে
তুমিও জেগে ছিলে; খিরকির গা এলিয়ে
জোছনার লম্বা বেহাল্লাপোনা ছায়া!
নড়েচরে বসে; জোছনার ভোজ শেষে
লম্বা ছায়া খসে পড়ে আমলকি বনে।


খিরকির ছায়া ফুরালে,
টিকটিকির ঠিক ঠিক ডাক
দেয়াল ঘড়ির পিছনে লুকিয়ে লুকিয়ে!
ততোক্ষণে ফ্যানের ঘূর্ণি আওয়াজ বাড়তে থাকে
অন্ধগলির বেওয়ারিশ কুকুরের ঘেউ ঘেউ ডাক।


১৪২৪/১৯, আশ্বিন/শরৎকাল।