_____আসবি তুই এমন হেমন্তে


কথা ছিল,
এই হেমন্তে আসবি তুই
দিগন্তে মেঘের আবির ছুঁইয়ে
ধুঁয়াশায় কুয়াশা শিশির মাখা অম্লান লজ্জাবতী; তার শরীর
আনমনা উদাসীনতায় নীলকাশে চেয়ে থাকে।


আসবি তুই এমন হেমন্তে,
শিশির ভেজা আই্ল পথে তোর পাদুকা ভিজে সারা
পাকা ধানের ক্ষেতে সোনার রোশনাই, তোরে দেখে
ডাহুকী অভিমানে ধানের শীষের আড়ালে লুকায়; গো-বকের ঝাঁক
ঘন কুয়াশায় ধান ক্ষেতে যেন নিবিড় আচ্ছাদন
বসে থাকে ভোরের আলো দেখবে বলে।


শিশির ধোয়া সীমের মাছায়, বিন্দু বিন্দু শিশির সীমের ফুলে
নোলক পড়ে রয়; আসবি তুই এমন হেমন্তে
খেজুরের রসে বুলবুলির ঠোঁটের দীর্ঘ চুমুক; সন্ধ্যাবতীর আঁচল জুড়ে
আসবি তুই এমন হেমন্তে।


১৪২৮/ হেমন্ত/ অগ্রহায়ণ