অনেক খুঁজেছি আমি---
মাঠ ঘাট প্রান্তরে , শীতের কুয়াসায়
রিমঝিম বৃষ্টিতে আর ঘন বরষায় ।
মেঘের ভেলা ভাসিয়ে তারে
পাহাড় থেকে পাহাড়ে, অথবা
অচেনা কোন পল্লীতে,
কোথাও পাইনি দেখা আমার চন্দনারে
চন্দনা আমার চলে গেছে অনেক দূরে ,
সাত সাগর আর তেরো নদির ওপারে ।
যেথায় রয়েছে তেপান্তরের মাঠ
খুঁজেছি আমি এক এক করে সে মাঠেরেই বাট ।
নাই সে ওখানে ,
ফিরে এলাম ভাংগা মনে
বললাম চাঁদকে,
দেখেছো আমার চন্দনারে ?
বলিলো, দেখেছি কবে সেই তাকে
আমার রূপালী আলোয় অপরূপ সাজে
দাঁড়িয়ে ছিলো তাদের আঙিনার এক পাশে
আমার আলোয় স্পষ্ট করে দেখেছিলাম ।
তার পর এক খন্ড অখন্ড কালো মেঘ
আমাদের মাঝে এসে দাঁড়ালো,
এর পর কোথায় যে চলে গেলো
আমি আর দেখিতে পেলাম না ।
---------------------------------------
আমার চন্দনার খোঁজে, আবারো
চলিলাম পথ রাত্রির অাঁধারে
চলতে চলতে থমকে দাঁড়ালাম
কি জানি মনে হয়েছিলো , রাত্রিকে বলে ফেললাম।
তুমি দেখেছো আমার চন্দনোরে ?
বলিলো, একবার তারে দেখেছিলাম
হাসনা হেনার পাশে
বলেছিলো কি মিষ্টি মধুর এ রাত ।
তার পর তারে দেখিনি আমি
খুঁজেছি অনেক ।
অামি বললাম, আমিতো তারই খোঁজে
খুঁজে চলি---
শরতের শিউলী ফুলে
অথবা শীতের কৃষ্ণচুড়ায়
আর শিমুল ডালে ,
কোকিলের কন্ঠে
আর বকুলের তলে ,
কিংবা সাদা মেঘের ভেলায়
অথবা বিকেলে অস্তগামি সুর্যের আভায় ,
কখনো ফসলের মাঠে
শীতের ঠান্ডা বাতাসে
ডায়েরীর পাতায়
কখনো কবিতার মাঝে ।