আমার স্বপ্নগুলো তোমাকে জানিয়ে দিলাম
আমার যে হাত তোমাকে ছুঁয়েছে একবার
সেই হাতে হাত রাখো তুমি,
বীণা, আমাকে নিয়ে চলো সেই খানে ।
যেখানে প্রবীণ অশথুতলে বসে আছে বাউল
যেখানে মৃদঙ্গ সুরে
মুখোমুখি বসে থাকে যুগল কপোত,
মাছরাঙা উড়ে যায় আকাশের শুভ্র স্বপ্নাভায়,
বীণা, আমাকে নিয়ে চলো সেই খানে ।
আমিতো বহুদিন শুনিনা কোন বাউলের গান
হৃদয়ের কোন ভাষা বুঝিনা বহুদিন,
মন আজ বড় বেশি চায়,
মনোময় মুরলী সুর শুনি কোন দূর গাঁয় ।
এখানে এই শহরে, ব্যস্ত জনপদে
যারা হেঁটে যান প্রতিদিন তাদের মাঝে
ক”জন আছেন যারা বাউলের সুর শুনে
নিত্য হৃদয়ের মাঝে ?
বিবেকের দড়জা ক”জনার খোলা আছে এই শহরে ?
বীণা, আমিতো রাজ পূর্ণিমার রাত্রি
এখানে দেখিনি কখনো
আমার সাধের একতারা বুকে নিয়ে
ঘুমাতেও দেখিনি কাউকে কোনদিন ।
ক্রমাগত নির্বাসিত বাসনা এই শহরের বুকে
থু-তু ছিটিয়েছে বারবার ।
বীণা, এই শহরকে দেখার মতো চোখ
আমার অন্ধ হয়ে গেছে,
মা-তো আমাকে জন্মান্ধ বলেই দিয়েছেন
অনেক আগে,
এখন গভীর অন্ধকার নেমে আসছে
এই শহরের বুকে,
অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে
সকল ফাগুণ সকল কৃষ্ণচূড়া,
এই শহরের ব্যস্ত লোকালয় ছেড়ে
চলো যাই অন্য কোথাও
শ্যামল মাটির গন্ধে
যেখানে ফাগুণের মৃণালিনী
ভেসে উঠে জ্বল জ্বলে দীঘির জলে
বিবেকের ঘোলা জলে ভিজে যেখানে
ক্ষত-বিক্ষত হয়না কোন রমনীর মুখ
আমারি মতন ক্রমাগত অন্ধ হয়না কেউ,
যেখানে শুধু বাউলের সুরে
বিবাগী ভালোবাসা ফিরে আসে আপন নিবাসে
বীণা, আমাকে নিয়ে চলো সেই খানে ।