দু-চোখ ভরিয়া ঘনাবে যেদিন ‍তিমির কূহেলী অাঁধার
চলে যাবো সেদিন বক্ষে লইয়া দোলানো বেদনা অপার ।
চলে যাবো দূরে বহুদূরে অচিন লোকের পাড়ে
খুঁজিবে সেদিন জানি প্রিয় হানিয়াছো হেলা যারে ।
পথ হারা পাখি আসিনু হেথা গানের সুরে সুরে
বাসিতে ভালো আসিয়া পেলাম গো বেদনা বক্ষপুরে ।
হানিয়াছো প্রিয় সয়েছি নিরবে যাতনা ব্যাথার শুল
গড়িবারে মালা তুলিয়াছি তবুও অাঁচল ভরিয়া ফুল ।
কতো আর বহিয়া চলিবো তোমারী এমন দান
পড়িয়া গিয়াছে কথার মালিকা কন্ঠে যতো গান ।
কথার মালিকা ছিন্ন আজিকে শুকায়েছে ফুলদল
শুকনো পাতার মর্মরে আজি ভরিয়াছে বনতল ।
সেই বনপথে চলিবে একা রাঙা চরণে তুমি
জড়াইবে পায় ছিন্ন মালিকা গেঁথেছিনু যা আমি ।
নিরালা দক্ষিনায় যবে বাতায়নে চাইবে দূর বনে
বাতাস হইয়া টানিবো অাঁচল আমারে পড়িবে মনে ।
নিতে আসি নাই কিছু দিতে আসিয়া চলিনু হায়
মঙ্গলঘাটে রাখিয়া গেলাম গো আঁখি বারি বেদনায় ।
বিদায় তরনী ভিরিলো ঘাটে বেলা যে অস্তরাগে
গাহিবেনা আর পাপিয়া বুলবুল তোমারী গুলবাগে ।
থেমে গেছে তার গানের কন্ঠ নিঠুর বেঁদের সুরে
হেরিবে সেথা শুন্যে শাখা কলিরা পড়েছে ঝরে ।
নয়নের সাধ মিটাইতে চাহি সদা তোমার পানে
ব্যাথা যদি কভু দিয়েই থাকি গো মরি যেন বিষপানে ।
এই টুকু আশিস মাগিয়া চলিনু প্রিয়তম হে মোর
ডাকে মোরে ঐ সুন্দর আজিকে বন্ধ করো গো দোর ।