একই বালিশে মাথা রেখে, কেউ কি পারে!
বা তুমিই কি পারবে?
তোমার স্বপ্নের মধ্যে পাশের মানুষটিকে,
অথবা অন্য কাউকে টেনে নিতে।
জানি পারবে না।
আমি ও পারিনি, আমার স্বপ্নের মধ্যে
কাউকে টেনে নিতে, এমনকি তোমাকেও,
স্বপ্নটা বুঝি, শুধু একান্তই নিজের নিজের ।
মনে আছে তোমার,
সেই উতলা যৌবনা নদী, তীর ঘেঁষে কাশবন,
জোছনায় আলোকিত আদিগন্তজোড়া
নীরব প্রকৃতি, কতো কথা কতো ভালোবাসা-
কতো মান অভিমান, সবই তো ছিলো।
তুমি ছিলে বলে,
তোমার আমার কতো স্বপ্ন ছিলো,
অনাগত আগামীর।
আমি তোমার চুলের গন্ধটা নিতে
উন্মুক্ত অধীর হয়ে থাকতাম সব সময়ই,
আর ছেলেমানুষি- সে তো সারাক্ষণ,
তবুও এতোটুকু বিরক্ত বা ক্লান্তি ছিলো না।


হঠাৎই কি যে হলো তোমার, সেই চাঁদনি রাতে
তুমি শুধু একটি কথা বলে চলে গেলে।
আজো ফিরে আসলে না।
মাঝে মাঝে যখন খুব মনে পড়ে তোমাকে-
ফিরে আসি,
যেখানে কতো না সময় অসময়
অলস দুপুর কিংবা মধুর আলিঙ্গনে কাটিয়েছি
ষোলোটি বছর আগে, দেখো---
সব কিছুই আছে, ঠিক- যেন আগেরই মতো-
উতলা যৌবনা নদী, জোছনায় ভরা সেই
আদিগন্তজোড়া মাঠ, নদীর তীর ঘেঁষে কাশবন,
ঝিরঝির হাওয়ায় আন্দোলিত প্রকৃতি ।
শুধু তুমি নেই, কতোটা দূরে তুমি আছো-
ভালোবাসায় নাকি ঘৃণায়,
হয়তোবা তার কিছুই,
আমি জানতেও পারবো না
শুধু এটুকু জানি, স্বপ্নটা শুধু নিজের,
একান্তই নিজের,
তাই হয়তো অভিমান করে
এতোটা দূরে সরে চলে যাওয়া ।
আমি পাগলের মতো খুঁজি এপাশ ওপাশ,
এঘর থেকে ওঘর, রাস্তা-ঘাটে কোথাও নেই
বিশ্বাস করো, সবই আমার আছে, কি নেই-
শুধু সেই গন্ধটা নেই, তোমার চুলের ।