©কাজী ফাতেমা ছবি


ধ্যত্তেরী ছাই ভাল্লাগে না,
শুনতে কথা-বলতে কথা;
কৈফিয়তের ডিব্বা খুলে
লম্বা করতে কথার সূতা।


দীর্ঘশ্বাসের প্রহরগুলোয়
ভাল্লাগে না খুব যন্ত্রণা
কে-বা কারা মনের ভিতর
পুষে রাখে বিষ মন্ত্রণা!


নিজের মতো সাজায় কেউ বা
আমার স্বাধীন মনের ভূবন
তিক্ততা সব গায়ে মেখে
বিষণ্ণতায় ভরি জীবন।


মনের ভিতর দ্বিধাদ্বন্দ্ব
হাজার রকম প্রশ্ন রেখে
কেনো যে হায়! মন ক্যানভাসে
দুঃস্বপ্ন কেউ রাখলো এঁকে।


বিশ্বাস হলো কাঁচের চুড়ি
ভেঙ্গে গেলে লয় না জোড়া
ইচ্ছে করেই কেউ বা এসে
বিশ্বাস ভেঙ্গে করলো গুঁড়া!


ঠুনকো প্রেমের রাস্তা ধরে
আগালে যে বিপদ বাড়ে
তৃষ্ণায় কাঁদবে অন্তর বুঝি
ইচ্ছেয় কষ্ট নিলে ঘাড়ে।


ভাল্লাগে না ভাবতে কিছু
ব্যস্ত থাকি দিবারাতি
আঁধার ঘরে পড়ে থাকি
জ্বালায় না কেউ এসে বাতি!


সবাই সবার নিজের মতো
ভাবতে থাকে আমায় নিয়ে
কেউ ভাবে না আমার কথা
কর্ম যে নেয় ঘুম ছিনিয়ে!


মাথার উপর শ' দায়িত্ব
ঢেউয়ে ঢেউয়ে উপছে পড়ে
কেউ জানে না কেমন করে
সংসার সাজাই থরে থরে!


কৈফিয়তের পাল্লায় পড়তে
আমার যে আর ভাল্লাগে না
একা সামলাই হাজার কর্ম
কারো তালে তাল লাগে না!


চলে যাবো সকল ছেড়ে
এখানটাতে আসবো না আর
কারো মনের কষ্ট হতে
স্রোতের টানে ভাসবো না আর!


(০৪-০৮-২০১৬