অবদান থাকলে অস্বীকার করার উপায় নাই
স্বরণীয় ব্যক্তিত্বদের ভুলার কথা না, মরেও অমর যারা যুগ যুগ ধরে
মানুষ তাদের স্মরণ করে; তাদের দেখানো পথে হাঁটে,
বিখ্যাতদের অনুসরণ করে, তাদের ভাল গুণগুলো বেছে নেয়।


জীবন চলার পথে পাথেয় হিসাবে কাজ করে ভাল গুণগুলো
চেতনায় জাগ্রত থাকে পৃথিবীর জন্য, দেশের জন্য বরণীয় মানুষগুলো।
বছরের পর বছর পৃথিবীর জন্য অবদান রেখে যাওয়া মানুষগুলোকে মানুষ
স্মরণ করছে আলোচনায়, সভায়, মিটিংএ, মিছিলে; চায়ের কাপে।


পৃথিবীজুড়ে স্মরণীয় মানুষগুলোর বজ্রকণ্ঠ আজো রাস্তায়,
পথে-প্রান্তরে চায়ের টঙে; মঞ্চের মাইকে বেজে উঠে ঝাঁঝাঁলোভাবে,
বিশ্ব, দেশ,জাতি বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে স্মৃতিময় দিনগুলোতে।


সবাই বুঝে, জানে, অবদান স্বীকার করে,
অস্বীকার করার উপায় নেই তো আগেই বলেছি।
যারা দেশ জাতির জন্য অবদান রাখে তারা বেশীদিন বাচতে পারে না,
কুচক্রীদের হাতে যুগ যুগ ধরে নিগৃহিত হয়, হচ্ছে,
দুষ্কৃতিদের হাতে কখনো চলে যায় তাদের জীবন।


নিজের জীবন দিয়ে প্রমান করে যায় তারা, জীবনের চেয়েও দেশ বড়,
জাতি বড়, মাথা নত হয়নি, করেনি মহানরা।


চলে যাওয়া বিখ্যাতদের জন্মদিন পালন করা হয় আজো,গান বাজিয়ে, কেক কেটে.....
আর মৃত দিবসে ওয়াজ মাহফিল ছাড়াও দিনভর মাইকে বাজানো হয় গান বাজনা,
তীব্র আওয়াজে ভাষণ, আলোচনা; স্মৃতিচারণ..... স্কুল-কলেজ,
রাস্তার মঞ্চে তেলানো মার্কা কথা বার্তায় ব্যস্ত থাকে স্বার্থ লোভীরা।


ফাঁকফোঁকরে ভাগিয়ে নেয় তাদের স্বার্থ, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্ব জুড়ে,
দেশ জুড়ে চালানো হয় সভা, মঞ্চ, গান বাজনা অনুষ্ঠানাদি।


মহানরা যারা গত হয়েছেন স্মরণ করি তাদের আমিও
বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে, দোয়া করি, আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।


গান বাজনায় বা লোক দেখানো স্মরণসভার জন্য যে  অর্থ ব্যয়িত হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে,
যে দেশের মানুষ রাস্তায়, ফুটপাথে দিনাতিপাত করছে, বেহাল অবস্থায় জীবন পার করছে,
যে দেশের মানুষ ভয়ংকর অসুস্থতাকালে চিকিৎসার ভার নিতে পারেনা,
চোখের সামনে মৃত্যু টেনে নেয় কাছে প্রিয়জনদের, স্বজনদের;
আমরা কি পারি না বছরে অন্তত একবার তাদের দিকে তাকাই
একটি বড় অংকের টাকা দিয়ে ফিরিয়ে আনতে কি পারিনা
মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া তার আত্মার স্বজনদের;
মানুষ হয়ে কেন পারি না মানুষের পাশে দাঁড়াতে!


মহান, বিখ্যাতরা বেঁচে থাক, চিন্তা চেতনায়, মননে, কাজে কর্মে;
তাদের বিজয়ের কেতন উড়ুক যুগ যুগ ধরে।
(15 August 2014 at 21:55 )