[ ভোরের আলো ]


বালুকাবেলায় হেঁটেছি একেলা
কুড়িয়েছি শত নুড়ি,
স্নিগ্ধ ভোরের আলো মেখে গায়ে
দিয়েছি যোজন পাড়ি।
পুবের আকাশে দেখেছি প্রভাতে
লাল হলুদের ছটা,
দিগন্তপারে অংশুমালীর
জল ছেড়ে ধীরে ওঠা।
রবিকর দেখি লুটোপুটি খেয়ে
বালুতটে করে খেলা,
স্নিগ্ধ আতপ শরীরে ছড়ায়
মনে দিয়ে যায় দোলা।
তরঙ্গ আসে হাতে হাত ধরে
কথা চলে কানেকানে,
দূর হতে আনা মধু কলতান
গুঞ্জে আমার প্রাণে।
তরঙ্গমালা বয়ে আনে প্রাণ
মহা তটভূমি দিকে,
ক্ষয় নাই প্রাণে শুধু ফিরে আসে
গভীর শূন্য থেকে।
বেলাভূমি শোনে দরিয়ার গান
ঊর্মিমালার দানে,
গানের ভাষায় মনের আবেগে
সুখস্মৃতি জাগে প্রাণে।
অবিরাম ঢেউ ফণা তুলে নাচে
থামেনাকো তার চলা,
ফুলে ফুলে উঠে তীরে ভেঙে গিয়ে
শেষ হয় তার চলা।
তরঙ্গ ভাঙে জলকণা ভাসে
সোনালি রোদের গায়,
জলছবি এসে ভেসে চলে যায়
মনেরই আঙিনায়।
জলকণা এসে চোখের পাতায়
পরশ বুলিয়ে যায়,
দখিনা হাওয়া ছোঁয়া দিয়ে প্রাণে
অসীম শূন্যে ধায়।
আলস মাখানো সকাল ফুরায়
কোলাহল যায় থেমে,
মিঠে কলতানে ঊর্মিরা মাতে
নির্জন বেলাভূমে।
কান পেতে শুনি দরিয়ার গান
নিবেশিত তনু মন,
হিয়ার মাঝেতে সংগীত বাজে
হরষেতে ভরে মন।


[কুয়েত, ১লা মে ২০১৮]
©চিন্ময়