[ ডাবওয়ালা ]


’দু-চারটে ডাব দিয়েই যাচ্ছি’
ডাবওয়ালার হাঁক।


মোড়ল বাড়ির গিন্নি বলে
'এমন সময় এই অকালে
একটু খানি ডাবের খোলে
এমন কি আর জল মেলে
আজকে নাহয় থাক।'


ডাবওয়ালার নাছোড় বড়াই
ডাব আছে ঠিকঠাক।


ভালো ডাবের আকাল বলে
আসা হয়না রোজ সকালে
আজকে ভালো আছে বলে
ডাক দিয়েছি সাত সকালে
নিয়েই দেখুন এক।


গিন্নি মায়ের শেষ প্রতিরোধ
বললামই তো থাক।


লম্বা এমন ডাবের খোলে
ছটাক খানেক জল মেলে
গোল ডাবেতে বেশি মেলে
সেটাও তুই বুঝিস ছেলে
পেটাস না আর ঢাক।


ডাবওয়ালাও মানতে নারাজ
করে বকর বক।


এই এত দূর সাত সকালে
তোমার জন্যে এলাম চলে
খুব ভালো ডাব ভরা জলে
প্রমাণ পাবে একটা খেলে
বললাম কথা হক।


মোড়ল গিন্নি হাল ছেড়ে দেন
বললেন চুপ থাক।


যখন তখন আসিস চলে
বেচা কেনায় ঘাটতি হলে
বেসাতি তোর ঠিক না হলে
বাছ পড়া মাল গছাতে হলে
চলে তোর হাঁকডাক।


ডাবওয়ালাও নাছোড়বান্দা
করে চলে বকবক।


গোলপানা ডাব ভালো পেলে
পরের বারে দেব এলে
এই কটা ডাব দিয়ে দিলে
সোজা বাড়ি যাব চলে
করবনা বকবক।


কর্তা তাদের থামিয়ে বলেন
'চারটেই রাখা থাক।'


জ্বালাসনা আর কথা বলে
ডাব রেখে তুই যা না চলে
পাওনা টাকা পেয়ে গেলে
ঘরেতে তোর যা তুই চলে
চুপটি করে থাক।


[দুবাই, ৯ই অগাস্ট ২০১৯]
©চিন্ময়