[ দাও ফিরিয়ে ]


নিদান এলো দাও ফিরিয়ে যে যার ভাগের মানি,
এখন থেকে চলবে না আর জনতার হয়রানি।
প্রমাদ গোনে উঠতি নেতা রাঘববোয়াল যত,
হিসাব যে নেই কোন খাতে আর কে নিয়েছে কত।
সুযোগ বুঝে হাত মেরেছে সব খানেতেই তারা,
যা পাওয়া যায় যেখানেতে গুছিয়েছে ঘর তারা।
বাধ সেধেছে ফেরত আদেশ হয়েছে ভারি মন,
লুকাতে আজ ব্যস্ত তারাই লুট করা সে ধন।
ফিরিয়ে দেয়া বলা সহজ নয়তো সহজ করা,
সঠিক ভাবে দেখলে সেতো চুরির স্বীকার করা।
কামিয়ে শতক দিতে দশক হয়তো আছে সায়,
একূল ওকূল দুকূল যদি সামলে রাখা যায়।
কেমন করে যায় ফেরানো ভাবনাই সবাকার,
ফিরিয়ে দিলে বলবে লোকে চুরিরও ভাগিদার।
কপালে ভাঁজ কি করা যায় আদেশ বলে কথা
নড়ন-চড়ন হলেই হয়তো কাটা যাবে মাথা।
ভাগে যোগে পেয়েছে সবাই উপর-নিচের তলা
সর্ষেতে ভূত আছে মিশে যায়না এসব বলা।
প্রমাদ গোনে তাবড়-নেতা তেলা মাথা চুলকায়,
কেমন করে আঁচ বাঁচিয়ে কেস সামলানো যায়।
গোদের ওপর বিষের ফোঁড়া ভাগাভাগির কথা,
পাড়ায় পাড়ায় কানাকানি জড়িয়ে দলের মাথা।
ভাগের মানির বেসাতিতে রয়েছে তেনার হাত,
তাইতো আজি রমরমা তার অল্পে বাজিমাত।
কিন্তু কঠিন নামটা বলা যাবেনা মুখ খোলা,
নিজের নাকের বিনিময়েও ভাঙবে নাকো পালা।
এ যেন এক শাঁখের করাত বিপদ উভয় মুখে
সুখের দিনের শেষের শুরু দেখে নিজের চোখে।
আদেশ শুনে মরিয়া মানুষ টাকা ফেরত চায়,
আম-জনতায় মেতে ওঠে ভাগ-মানি তরজায়।
টাটকা ঘায়ে দাওয়াই এটা বাঁচাতে চোখ-লাজ,
এবার বোঝো কেমন ছিল অবাধ লুটের রাজ।।


[কুয়েত, ৫ই জুলাই ২০১৯]
©চিন্ময়