[ মান-অভিমান ]


ভালোবাসা ছিল এক কোণে পড়ে
আর সবই গেছে ভেসে,
প্রেয়সীর নাকি হাড়ে-মাসে কালি
প্রেমিককে ভালোবেসে।
প্রেমী বলে হায় এখনো আমায়
পারলেনা তুমি জানতে,
আর কত ভাবে বুঝাবো তোমারে
কি পেলে পারবে মানতে।
কত যে তোমায় ভালোবাসি প্রিয়ে
খুঁজে দেখ নিজ মনে,
ডুব দিয়ে দেখ মনের অতলে
পড়ে কি আমায় মনে?
প্রেয়সীর দাবি চিরকাল প্রেমী
দেয় নাকো সম্মান,
অসৎ আচরণ করে যায় শুধু
সাথে মিছে অপমান।
অন্যের সাথে কখনও করেনা
এমনই অসদ্ভাব,
যত অনাচার প্রেয়সীরে ঘিরে
দেখানো প্রেমের ভাব।
সকাল সন্ধ্যে নিত্য নতুন
তরজায় জেরবার,
আগে কখনোতো এমনি করেই
ঝগড়া হয়নি আর।
প্রেমিক হুতাশে আরবার বলে
ভেবে দেখো একবার,
আমার কথায় কেন মিছে রোষ
করো তুমি বারবার।
কি লাভ বলতো অপমান করে
তুমি তো আমার মিতা,
মিছে কেন তুমি ভুল বোঝো মোরে
ভালোবাসা করো তিতা!
কেন মিছে করো হা-হুতাশ তুমি
নেই কোনো গরমিল,
কেন মনে হয় তোমাতে আমাতে
হতে পারে নাকো মিল।
প্রেমিকা জানায় সে ঠিক করেছে
ভেবেই অনেক বার,
মনের দূরতা বেড়েছে যেভাবে
আর কাছে আসা ভার।
তার চেয়ে ভালো দূরে দূরে থাকা
যে যার নিজের মত,
আর ব্যথা পেতে চায়নাতো সে যে
দুঃখ আসুক যত।
ব্যর্থ প্রেমিক অবশেষে মানে
দূরতার সমাধান,
যদিও সে জানে অচিরে ঘুচবে
প্রেমিকার অভিমান।
জীবন আবার চলবে গতিতে
থামবেনা কোনোদিন,
প্রেমিক-প্রেমিকা এক হয়ে যাবে
কাটবে সুখেই দিন।


[কুয়েত, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০১৯]
©চিন্ময়


বিঃদ্রঃ - কাব্যরসে সিক্ত সম্পূর্ণভাবে কাল্পনিক কাব্য।