[মেঘবালিকার খোঁজে]


ইচ্ছে করে জানতে আজও
মেঘবালিকা থাকে কোথায়
ছেলেবেলার মেঘের মাঠেই
নাকি সেই-সে ঝরণাতলায়!


তেপান্তরের মাঠের শেষে
এখনও কি মেঘের দলে
বৃষ্টি নামের সেই মেয়েটা
বৃষ্টি ভেজার খেলা খেলে!


এখনও কি মেঘহরিণী
মেঘের দলের খেলা ছেড়ে
এদিক-ওদিক ছুটে বেড়ায়
ব্যস্ত নানান মেঘের ভিড়ে!


আজও কি সেই নদীর পাড়ে
সারাজীবন বৃষ্টি ঝরে
এখনও কি কিশোর সাথীর
কথা কবির মনে পড়ে!


ইচ্ছে করে জানতে আজও
হাল-হকিকৎ তাদের ঘরের
কোথায় আছে তারা সবাই
কেমনে দিন কাটছে তাদের।


মনের জবাব পাবোই বলে
গেলাম দূরে গাঁয়ের ঝিলে
একপশলা বৃষ্টি এসে
ভিজিয়ে দিয়েই গেল চলে।


যেতে যেতেই বলল তারা
ব্যস্ত কাজে আগের মতই
চারদিকেতেই চলছে বর্ষা
তাইতো থামার নেই সময়ই।


খবর নিতে মেঘবালিকার
খুঁজতে গেলাম খরস্রোতায়
বললো অপর বাদল এসে
থাকেনা সে এই ঠিকানায়।


ওই দূরে যে পাহাড় নদী
যেইখানেতে কেউ যায়না
হয়তো তাকে পেতেও পারো
ওটাই শুনি তার ঠিকানা।


এইনা বলে আবার তারা
হারিয়ে গেল খরস্রোতায়
মন কেমনের পালার শুরু
কেমন যেন বিষন্নতায়।


আকাশটাকে সাক্ষী করে
মানস ভ্রমন শেষের পরে
সাঙ্গ হল খোঁজার পালা
ভার-হৃদয়ে এলাম ফিরে।


প্রথম দেখা মেঘবালিকার
আলাপই ছিল যেচে যেচে
চলতি হাজার মেঘের ভিড়ে
হয়তো আজও বেড়ায় নেচে।


[দুবাই, ২৫শে অক্টোবর ২০১৯]
©চিন্ময়