[ নরপিশাচ ]


আবার কেন মিথ্যে গরব
মানুষ বলে করছো বড়াই
শিশুটাকেও বাদ দিলেনা
জবরদস্তি করলে জবাই।


ছোট্ট শিশু দেখতো স্বপন
আকাশ ভরা তারার ভিড়ে
এক লহমায় শূন্য আকাশ
শুধুই কালো রইল পড়ে।


ব্যথায় শিশু ককিয়ে ওঠে
শূন্য চোখে মা'কে ডাকে
আর পারেনা সইতে জ্বালা
চোখে আঁধার নামতে থাকে।


ধর্ষ কামের আদিম নেশায়
নরক সুখে পিশাচ মাতে
শিশুর চোখে আঁধার ঘনায়
রক্ত গড়ায় নিশীথ রাতে।


আকাশ দেখার স্বপ্ন হারায়
অবশ দেহ আর চেতনায়
ছোট্ট শিশুর লড়াই থামে
জীবন জ্বালা শেষ হয়ে যায়।


নীরব রাতে আকাশ থেকে
দুএক ফোঁটা কান্না ঝরে,
ছোট্ট শিশুর যন্ত্রণাতে
সজল চোখে গুমরে মরে।


রাতের কালোয় সাঙ্গ যে হয়
নরপিশাচের আদিম খেলা
বস্তাবন্দী নিথর শিশুর
দেহের থেকে ছিন্ন গলা।


রইল আকাশ রইল বাতাস
রইল পড়ে নিথর শিশু
এ কোন দিশায় যাচ্ছি মোরা
মানুষ বেশে ঘুরছে পশু।


কি দোষ ছিল ফুলের শিশুর
শুকিয়ে গেল বিকাশ আগে
নরপিশাচরা শুনতে কি পাও
চেতনায় কি আঘাত লাগে?


হাহাকারে ভরছে আকাশ
বাতাস ভারি শিশুর শোকে
গণ চেতনা ফিরবে কবে
তোমার আমার মর্ত্যলোকে?


তাকিয়ে আছি বিচার আশায়
যেদিন পিশাচ পড়বে ধরা
নজির বিহীন শাস্তি পাবে
ছুটবে খুশী বাঁধন হারা।।


[দুবাই, ৪ঠা আগস্ট ২০১৯]
©চিন্ময়