[ সংকট ]


খবরে প্রকাশ ভূগর্ভে জল তড়িঘড়ি হবে শেষ,
জল তল নামে আশাতীত ভাবে ভয়েরই উন্মেষ।
বরষা পিছিয়ে ফি বছর ধরে ফিরায়েছে তার মুখ,
মানব কপালে আসতে চলেছে জলহীনতার দুখ।
দশটা বছরে জল তল যাবে অনেক অনেক নীচে,
খরার কবলে ঢেকে যাবে দেশ মিলবেনা জল সেচে।
ফসল হবেনা মাটি ফুটিফাটা চারিধারে হাহাকার,
মাথায় কলসি জলের আশায় ক্রোশ হতে হবে পার।
ক্ষুধায় তৃষায় দিশে হারা হবে পাবেনা জলের দেখা,
নদ নদী সব থাকবে শুকিয়ে পড়ে রবে তার রেখা।
চড়া দরে খুব বিকিকিনি হবে জলেরই ব্যবসাতে,
ব্যবসায়ী সব লুটবে মুনাফা জলেরই ফাঁদ পেতে।
অসাধু ভাবেই চলবে দেদার ঘৃণ্য এ অপরাধ,
জীবন নিয়েই ছিনিমিনি খেলা চলবে সব অবাধ।
বাঁচার আশায় বাধবে বিবাদ বেড়ে যাবে জন রোষ,
অরাজকতায় ছেয়ে যাবে দেশ বাড়বে অসন্তোষ।
ক্ষমতাবানের শাসনে মাতবে হিংসায় চারিদিক,
পদদলিতের তালিকায় যাবে সাধারণ নাগরিক।
সবার আহারে পড়ে যাবে থাবা ভয়ানক হবে দিন,
অপুষ্টি আর রোগভোগ জরা ছেয়ে যাবে দিন-দিন।
অসুখ বিসুখে ভরে যাবে দেশ বেড়ে যাবে অনাহারী,
অকুলান হবে জন-পরিষেবা রূপ নেবে মহামারী।
সর্বহারার তালিকা বাড়বে বাড়াবে মনের ক্ষত,
দিশাহীনতার আঁধারে ঢাকবে মান অভিমান যত।
এখনই চাই সরকারি ভাবে ফরমান হোক জারি,
জল ব্যবসায় ভূগর্ভ জল পাবেনাকো কারবারি।
সময় হয়েছে একটু ভাবার আপামর সুধীজন,
জল সঞ্চয়ই মহা সঞ্চয় বাঁচাও জনজীবন।
যখন যেখানে অপচয় দেখ হও সদা সোচ্চার,
জলই জীবন একথার মানে সদাই করো প্রচার।
খোলা নল থেকে জলপড়া রোখো বাড়াও সচেতনতা,
তোমার আমার চেষ্টা যোগাবে দিকে দিকে চেতনতা।
বর্ষার জল ধরে রাখো আর মাটিতে ফিরাও তাকে,
জলের তলের সমতাটা থাক দেশমাতারই বুকে।
প্রগতির পথে হাতে হাত রেখে চলো দুর্বার বেগে,
মানব জাতির কল্যাণ হবে তোমাদের ছোঁয়া লেগে।


[দুবাই, ২৩শে জুলাই ২০১৯]
©চিন্ময়