দেখতে দেখতে কবে যে হারিয়ে গেলো গোটা সোনালি আকাশটা,
চলতে চলতে খুইয়ে ফেলেছি একরোখা স্বপ্নের হাতটা ।
কালো কালো হাসিগুলো চেপে বসে থাকে—
কামড়ে ধরে সারা শরীর জুড়ে,
দীর্ঘজীবন ছুটে চলে ,
দীর্ঘকাল এসে দাঁড়ায়।
দীর্ঘদিন ধরে শুনিনি জীবনের শব্দ পৃথিবীর কোনো প্রান্তে।
নির্বিকার খসে পড়া শীতল রাতের আড়ালে
নিভে গেছে আলোর চিৎকার।
প্রতিবার যখন সন্ধ্যা প্রদীপের শেষ শিখা মুছে যায় অন্ধকার প্লাবনে,
নীরবতা সারা পৃথিবীকে ঢেকে দেয় অন্ধকারের গহীনে।
আমি শুয়ে থাকি চিরদিন মৃত ঘাসের সমাধির উপর।
মায়ামাখা পথ ধরে হেঁটে গেছি দুর্নিবার আশায়—
নিঃশব্দ গাছের সারি বেয়ে
সদ্য জেগে ওঠা চাঁদ যেন আজ
নুয়ে পড়েছে অস্তিত্বের আঘাতে।
বিভীষিকা হয়ে জেগে ওঠা মৃতদেহগুলোর আর্তনাদ
গ্রাস করতে চেয়েছিল গোটা রাতের নিস্তব্ধতা—
নিভিয়ে দিতে চেয়েছিল ভবিষ্যতের সম্ভাবনার সব আলো, সব শব্দ, সব শ্বাস।
সে এক রাত এসেছিল অজান্তেই—
সব অবহেলা উপেক্ষা করে লুটিয়ে পড়েছিল আমার চারপাশে,
কবিতার পাতায় পাতায় জেগে উঠেছিল স্তব্ধতার প্রাচীর—
পাহাড়চূড়ো ভেঙে ছুটে চলা তীব্র এক খরস্রোতা নদীর মতো
নেমে এসেছিল এক অপরূপ আবেশ।
সাথেই ছিল খানিক—
জাগিয়ে তুলেছিল আরেকবার, জীবন্ত আকাশের মতো।
কতবার ভেবেছি— এই জ্বলন্ত আকাশ খুঁড়ে ফেলবো,
খুঁজে বার করবো নিজেকে।
কতবার চেয়েছি ছুঁড়ে ফেলবো নিজেকে
কোনো পুড়ে যাওয়া সমুদ্রের গভীরে।
দু'চোখের সীমানা বেয়ে ঝরে পড়ে শুধু কাগজের ফুল—
আজ এই বেসামাল জীবন পরে থাকে অস্তিত্বের অন্ধকারে।
শুধু উল্কাপিণ্ডের মতো আকাশ জুড়ে ছুটে বেড়ায়
জীবনের উল্লাস।