যে সুখ আমি চেয়েছিলাম
সেই সুখ সবারই আছে।
তাই মাথার ভিতরের রসায়নকে
পালটিয়ে দেখতে চেয়েছি;
জানিনা, এই জীবন আমার হবে কিনা?
নাকি পূর্ব জীবনের পুনরাবৃত্তি?


ছেলেবেলার ফুটবল মাঠে বসে
বেঁধেছিলাম যে সুর;
সেই সুর আজও অক্ষত।
বেজে ওঠে অমলিন
মাথার ভিতরের অর্কেস্ট্রাতে।


চেনা মানুষ, আপন বন্ধু,
কিংবা সবচেয়ে কাছের মানুষ,
যাকে তোমরা প্রেয়সী
বলে সম্বোধন করো।
তাকেও আমি হারিয়েছিলাম
মস্তিষ্কজাত অপাংতেয়
রাসায়নিক বিক্রিয়ায়।


বলা বাহুল্য যে,
আমি সেই শত্রুকে
পরাজিত করেছি একটিবার
এবং বিজয়পতাকা নিয়ে
এগিয়ে চলছিলাম বিশ্ব-সংস্কৃতি সংঘের মঞ্চে।


কিন্তু বারবার হানা দিয়ে বসে
কোন এক হায়েনা-শকুনের দল;
ছত্রভঙ্গ করে ফেলে আমার
সাজানো অপেরা,
অথবা বিমূর্ত ক্যানভাস।


এইতো গত দুবছর আগে
আমি রীতিমতো ফিনিক্সের মতই
ডানা মেলে পৌঁছে যাচ্ছিলাম
আমার প্রিয় সাইবেরীয় ঠিকানায়।


হয়তো আর কিছুদিন শীত নিদ্রায়
থেকে এমন ভাবে ডানা ঝাপটাবো
যাতে বেতোফেনের মৌন সুর
অথবা শোপাঁর কাব্যিক পিয়ানো
অন্তর-আত্মা থেকে প্রকাশ পায়।  


তাই আজ আর কবিতার তেজ
বৃদ্ধি করলাম না।
ব্যাপ্ত করলাম আরধ্য সপ্নের
যে স্বপ্ন একদিন এই আমাকে
পৌঁছে দেবে ঠিক তোমাদের ঠিকানায়।