অনেক হল
মানুষ হতে গিয়ে
মাটির গন্ধ শুকে, মানবিক উর্বরতায় কেটেছে যার শৈশব-
যে কিনা রঙের বৈষম্য শিখেছে আনমনে হরেক রকম কোমল পাতা ঘষে ঘষে
বালির বাঁধ দিয়ে পানি জমিয়ে যে রপ্ত করেছে জোয়ারভাটার হিসেব নিকেশ
চলন্ত গাড়ীর ভেতর থেকে চাঁদ দেখে বুঝতে শিখেছে-
কেন চাঁদ স্থির থাকে যদিও- চাকা ঘুরছে অনবরত!
আরও কতকি? পৃথিবীটা গোল, মেঘ থেকে মানুষের অবয়ব-
খুঁজে এনে দ্বৈত জগত সৃষ্টি করা-
কিন্তু সবই জঞ্জালে গেলো যখন তাকে কোমল মণ্ডে পরিবর্তিত করা হল শিক্ষাদানের নামে-
তারপর হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাট, চারিদিকে অন্ধকার-
কোটি কোটি মণ্ডের মাঝে কিছুতো উচ্ছিষ্ট নোংরা হবেই-
মানুষ তৈরির কারখানায়, খামখেয়ালিপনায়!
এবার একটি প্রতিষ্ঠিত মণ্ড যে কিনা ধীরে ধীরে একজন সফল রোবটে রুপান্তরিত হল-
সে আমাকে শাসিয়ে গেলো কীরে মানুষ কেন হলিনা এই জনমে?
আমি তাকে উত্তর দিলেম- অনেক হল-
মানুষ(রোবট) হতে গিয়ে
যখন ব্যর্থ হলাম
তাই এখন কুকুর হয়ে বাকী জীবন পার করিয়ে দেবার সপ্ন
শক্ত জোড়া নাকের ওপর ভর করে শুধু শ্বাসপ্রশ্বাসে থাকবো
আর ঘ্রান নিবো
আহ্ কি দারুন মাটির গন্ধ!



২২শে সেপ্তেম্বের,২০১৩