পাখিরা উড়ছে আর ছড়িয়ে পড়ছে দিকবিদিক-
শিকারির বন্দুকের শব্দে !
পার্কের বিশাল আঙ্গিনায় হঠাৎ ধুম লেগেছে-
সারি সারি পুরনো বৃক্ষগুলো কি শুধুই মানুষের ছায়ার আধার ?
উড়ন্ত বিবেকরা বোঝে- এরা আসলে পবিত্র-আত্মার পাখিদের রিফিউজি-ক্যাম্প !
অথচ এটা এই স্বাধীন দেশের রাজধানীর মানুষগুলো বোঝেনা-  
বোঝে কেমনে ? কারণ তারা তো আসল স্বাধীনতা হারিয়েছে ইতিহাসের ভেতর ,
যাদের জন্মই হয়েছে- "পার্থিব পৌরসভার পাঁচ টনই আবর্জনা বহনের তাগিদে !"
মহাবিশ্ব বাড়ছে সহজাত প্রক্রিয়ায়- সভ্যতার চোখ মেলছে আলোর গতিতে-
অথচ আমরা স্রেফ মূল্যহীন একগাদা জঞ্জাল ছাড়া আর কিছু নয় এই সম্ভাবনার গ্রহে ;
তিলে তিলে শূন্য হতে থাকা সবুজ বনরাজি আর নীলিমার বাসিন্দা পাখিদের আসলে সবিই আছে-
কারণ তাদের শৈশব থেকেই ইতিহাস ধরিয়ে দেয়া হয়না-
কানের দুধারে পবিত্র শয়তানের পবিত্র বুলি প্রবেশিত হয়না নরম সুধার মতন ,
তারপর কৌশলে সতীত্ব হানী ঘটেনা সপ্নের ভেতর "অনুভূতির স্বাধীনতার" !!
অথচ আমরা অনুভূতির-স্বাধীনতা হারিয়েছি স্রেফ ঔপনিবেশিক-উপদেশ মালার বিনিময়ে !
পাখিরা আকাশে উড়ে "অনুভূতির স্বাধীনতা" নিয়ে
আমি তাকিয়ে দেখছি সবার হয়ে-
জানতো অনুভূতির স্বাধীনতার একটা সঞ্চয়পত্র খুলেছিলাম গত জন্মে !-
হু হু করে সেটা সুদে আসলে দিগুন হয়েছে, শত নিষিদ্ধতার ভেতর-  
কিন্তু এ যেন শুধু অর্থহীন সঞ্চয়
যার একমাত্র প্রায়োগিক মূল্যায়ন-
আমার এই অবধারিত কবিতা
বলো কবিতা, মানুষের মহা মূল্যবান "অনুভূতির স্বাধীনতার কথা !"


১১ই মে, ২০১৫