দুর্বল প্রতিপক্ষের মতন লড়বার ক্ষমতা ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসছে আমার-
জীবন নামের পরিক্ষাগারে, মাথার ভেতরের চির তরুণ সূর্যটার এবার বুঝি সাগর সম্ভোগ ঘটবে!-
রক্তস্নানের লাস্যময়তায়!, সে কবিই একমাত্র জানে, বোঝে সেটা এতোটা সহজ কোনো প্রক্রিয়া নয়- সাগরসম্ভোগ যতোটা আনন্দের, পক্ষান্তরে রক্তসম্ভোগ ঠিক ততটুকুই ভয়ানক;
উষ্ণ পৃথিবীর জলবায়ুর নৈতিক পথভ্রষ্টটা, স্পষ্ট ভাবে প্রতীয়মান এই স্থুল দেহে- যার  প্রতিফলিত রুপ এই অবধারিত ঘটে যাওয়া বহমান ঘামের বন্যা, যেনো হিমালয় থেকে হিমবাহ গড়িয়ে পড়ছে অনবরত!- অসময়ে, অবশ্যম্ভাবী ভাবে- অনিচ্ছার দুর্মূল্যে প্রাপ্তি!?
যদি মোমের তৈরি কোনো এক সত্তা হতাম তাহলে অপলকেই মেনে নিতে জানতাম-
বাস্তব নিয়তি জেনে! কিন্তু এযে রক্ত মাংসের মানুষ, যে কিনা সব কিছুকেই –
গিলেছে অবিরাম প্রক্রিয়ায়,- গরু, ছাগল, শস্যদানা, ফার্মের নিরীহ স্বর্গীয় মুরগী, এমনকি আলাভোলা শিশু ছানাদেরও
তাদের প্রাণ নিরোধের কথা পষ্ট মনে আছে এই আধুনিক মানুষটার
সে জানে, সেও একদিন একই পরিনামে প্রক্ষিপ্ত হবে-  
স্রেফ উদ্দেশ্যহীন স্বর্গীয় উচ্ছলতায়,
লাল, সবুজ বেগুনি ডাইনোসরীয় ঐতিহাসিকতায় কিন্তু রক্তসম্ভোগ এমনতো কোনো তুচ্ছ বিষয়- নয়, যে সহজেই মেনে নেয়া যায়!!
তুমিই বলো কবি, মৃত্যুর অবধারিত প্রক্রিয়া যদি ডাইনোসরদেরও জানা থাকতো-
তারাও কি এই মুহূর্তে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতোনা মানুষের মতন!

১৪ই জুলাই, ২০১৫