ক।।


একটা অতি নির্লোভ মানুষ সাদা ধুতি জড়িয়ে
আড়ষ্টে শুয়েছিল ভলদা গার্ডেনের পুকুর পাড়ে
তার নির্লিপ্ত সাদা চক্ষু যুগল স্থির হয়ে ছিল-
অদ্ভুতুড়ে ঝুলন্ত বাদুরদের জীবন-যাপন দেখে;
আর বিশ্লেষণে নিমজ্জিত হচ্ছিল-
দু’শত বছরের পুরনো মনকে নিয়ে!
- ততদিনে সনাতনী বিশ্বাসে তার অনেকবার-
পুনর্জন্ম লাভ করার কথা ছিল!


অথচ সে বুকে টেনে নিয়েছে অসনাতনী বিশ্বাসকে
ফলশ্রুতিতে সে ধীরে ধীরে শুন্যতার পথ ধরে-
হেঁটে চলছিলো পরম আনন্দে-
ব্যস এতুকুই তার জীবন!
সে জীবনকে মেনে নিয়েছে নিগূঢ় আনন্দের উপাদান স্বরূপ
এখন সে স্রেফ সূর্য রুপী এক রূপান্তরিত মানব!


খ।।


ধুতি পরা মানুষটার জৈবিক কোন চাহিদা ছিলোনা বললেই চলে
নারী সান্নিধ্য তো দুরের কথা, প্রাথমিক যৌবনেই
সেটা হারিয়ে গিয়েছিলো স্বপ্নের ভিতর;
তারপর মাসের পর মাস, মাস-বাহ করে
কাটিয়ে দিয়েছে তপস্যার রেণু,
হিমালয়ের বরফ শীতল কঠিনত্বকে
অবধারিত ভাবে মেনে নিয়েছে
তার মিহি নরম জৈবিক পরিধান;
শত শত পাহাড় পেরিয়ে সে যখন আবার ফিরে এলো এই বদ্বীপের দেশে,
ততদিনে ভারতের দেহ জুড়ে বিশাল ক্ষত-
শুধু ঔপনিবেশিকতার ক্ষত বললে ভুল হবে-
এই ক্ষত যেন আর সেরে ওঠার নয়,
এই ক্ষত বইয়ে নিয়ে যেতে হবে বাঙালকে
রুটির মত ছিঁড়ে ফেলা যে মানচিত্র
যা আমরা পেয়েছি বাংলাদেশ নামে
সেখানে আসলে মানুষের চাইতে-
তেলাপোকার সংখ্যায় বেশী!
এই তেলা-মানুষগুলো আসলে মস্তিষ্কবিহীন
স্বপ্ন দেখে শুধু ধ্বংসের!!!