গ।।
ধুতি পরা রসকষহীন মানুষটা আসলেই স্বপ্নহীন
আর এই বদ্বীপের অধিকাংশ বাঙালরা মস্তিষ্ক বিহীন
এক নব্য আগন্তুক বলে উঠে “এরা আসলেই এক”
কিন্তু আমি নামের যে ছায়াটা এখানে শুধু উপস্থিতি-
হয়ে ঘুরে ফিরে আবছা-বেড়ালের মতন বাংলা-বাজারের
প্রেস-পাড়ায়, সে বিশ্বাস করে এরা আসলেই পরস্পর-
বিপরীতধর্মী!
স্বপ্নহীনতা মানে সব কিছুকে মেনে নেয়ার ক্ষমতা
আর মস্তিষ্কহীনতা মানে “যে কোন কিছু কেই মেনে
নিতে জানেনা”- মানে অনিবার্য ধ্বংস!!


ঘ।।


ধুতি পরা বাঙালটা আজ নিঃস্ব
বলতে গেলে অনাথ,  
তবুও তার চোখে মুখে আনন্দ খেলে যায়,
সে এখনও অনবরত বলে যেতে পারে-
স্বামীজির বানী, রামকৃষ্ণের প্রেমময় জগতের কথা;
খিদে লাগলে লতাপাতা খেয়েই চলে যায় তার,
কোথাও কোন সমস্যা নেই তার;  
জৈন বিশ্বাসের এক বেলা খাদ্যবাস-
যেন তার দেহের সাথে মিলে মিশে একাকার-
হঠাৎ তাকে দেখে সবার দৃষ্টি কটু লাগে,
লক্ষ লক্ষ জামার ভিড়ে গেরুয়া জামার-
লোকটায় যেন শুধু আলো ছড়িয়ে যায় একুল-ওকুল-
দুকুল হারানো বাঙ্গালদের মাঝে!
তাই ঘৃণ্য ধুতিওয়ালায় যেন-
হয়ে ওঠে নিভৃতে, নির্জনে
একমাত্র প্রেমের কাঙাল!!