পড়ে আছে সেই কবিতা
হলদে, স্যাঁতসেঁতে পাণ্ডুলিপির কাব্যিক বস্তিতে
কবিদের যক্ষ্মাক্রান্ত বুকশেলফের অন্ধকারে,

তেলাপোকারাও ঘ্রাণ নিয়ে ফিরে গেছে
ভদ্র কবিদের অভদ্র স্যান্ডেলের চাপায়
স্রেফ পলিথিন ভেবে!

কবিদের আমি- আমি-ও সারা ঘরে ঘোরে
বাতাসে ভেসে বেড়ানো পলিথিনের মতন
অথচ আকাশের কাছে কবি, পড়ে থাকা পাণ্ডুলিপি-
কিংবা অবিনশ্বর পলিথিন সবিই এক;

যে কবিতার জন্ম হয় না
কবিদের ইচ্ছেদের দেয়াল পেরিয়ে
সে যেন আজন্মই অপ্রকাশিত থেকে যায়
অথচ তার ধারণা বইয়ে বেড়ায়-
নোবেল বিজয়ীদের কবিতা-মালায়,

যে কবি মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় না
বিনয়ের চৌহদ্দি পেরিয়ে
তার জন্য ও কেউ আফসোস করে না,  
শুধু “যুগের আলোর” সেয়ানা কবিটা বাদে
যে এতদিন পাহারা দিয়ে ঘাম ঝরিয়ে ছিল
রাত জাগা ‘কুখি’ হয়ে
যাতে বিনয়ী কবিদের কবিতারা
পাণ্ডুলিপি থেকে আণ্ডুলিপিতেই রূপান্তরিত হয়!
আর অপ্রকাশিত কবিতারা ভেসে বেরাক কাওরান বাজারের-
বাসের টিকিট হয়ে!!


এতো কিছু করার পরেও সে কুখ্যাত কবি খ-ব
আফসোস করে আমি কেন নোবেল পেলাম না-
শুনে বারান্দার হলদে নোংরা বেড়ালটাও মিয়াঁও করে ওঠে।


৫ই অক্টোবর, ২০১৫