অস্পষ্টতার খই ফোটে শেষকালের মতন
মিথ্যের আয়নাটা ভেঙে চৌচির,
আধখানা দুঃখ অথবা জলাতঙ্কের কষ্ট
নিরিবিলি দুপুরে ড্রইংরুমের বিষাদ হয়ে ঘুরে।
পুরনো রেকর্ডারে রবীন্দ্রসঙ্গীত অথবা কারপেন্টার্সের গান
গজ গজ করে বেজে ওঠে স্মৃতির পঞ্চমতলায়,
দোতলায় থাকে সবসময় এপার্টমেন্টের লোভে ভেঙ্গে ফেলা বাড়ী –
নানান প্রজাতির ফলবান বৃক্ষ, নারিকেল বৃক্ষের আঘাতে কাঁচ ভাঙে জানালার।
ভূত তাড়িত এক মাও উড়ে স্মৃতির ৪র্থ তলায় হারানো সন্তানকে খুঁজে পাবে বলে! –
খুঁজতে খুঁজতে সেও নষ্ট করে বসে এক নাবালকের জীবন চোখের আড়ালে।
ব্যথায়, ব্যথায় ব্যথা বেড়ে ওঠে সিজেনাল দেহহীন প্রেমে
প্রেমে পাতা ঝরে বিদেশিনী বৃক্ষের –
তার গায়ে আজও লেগে আছে –
হাজার হাজার তেতো ফল স্তন্যদায়ি প্রানির মতন।
বৃষ্টি আসে শীতের ভেতর
বিরক্তি ছড়ায় নটা পাঁচটার জীবনে,
আমি লেগে থাকি আঠার মতন –
ঘণ্টার কাঁটার সাথে চিরকাল
আরেক কাল যতদিন না আসে ফিশফিশ করে
হারাবো একদিন আনন্দের বৃক্ষের ভেতর।


৩রা ডিসেম্বর, ২০১৫