আঁকা যেতো বছরটা রঙ তুলি দিয়ে
হলুদ-বেগুনির নেশা লাগানো মুগ্ধতায় আকাশ ছোঁয়া যেতো নিশ্চয়!
ছোঁয়া যেতো বেভেরিয়ার প্রকৃতি তোমার পুরনো বেহালার পরশে –
সেটাও হল না প্রিয়তমা, অধর্মে হারিয়ে যাওয়া মাংসপিণ্ডে।
এখন সে অদেখার নিয়মে পারদর্শী, জানি ততদিনে ছায় জমেছে ভালোবাসার ফুলদানিতে,
সেই দুঃখ যেন আর গোছে না তোমার আর অনাত্মার!
কেন এমন হল?...অথচ সবকিছু নিরব থাকে নিস্তব্ধতার ভাষায় –
আমি, আমি, আমিহ্ হতে যখন নেই হয়ে গেলাম,
তখন কি পুরনো দুঃখগুলো ধুয়ে-মুছে রোদে দেয়া যায় না! – লুসিয়ানা
চলো না আবার ঘুচিয়ে নিই পোটলাপুটলি স্রেফ নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে
যেখানে বাখ-বিতোভেন বসে আছে আমাদের অপেক্ষায়
রাইন নদীর দুপার যেন এক হয়েছে মানুষের মেলায় –
পৃথিবীর গান শুনবে বলে আরেকবার!


৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৫