জীবনকে দেখছিলাম ২০২২ সনের প্রেক্ষাপটে
যদিও মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ব্যস্ত তাদের
জেম্স ওয়েব ক্যামেরা নিয়ে।
"নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে দুই সূর্যের অক্ষে ঘুরে বেড়ানো
নতুন কোন বাসযোগ্য দুনিয়ার গল্প"
ওসব তথ্য আমার মস্তিষ্কের জন্য সুখকর।
আবার প্রশ্ন জাগে, অতীতের পৃথিবীতে কী
চোখ রাখতে পারে নে, জেম্স ওয়েব?
(যদি সে হাজার কোটি বছর পূর্বের
মহাবিশ্বের ছবি তুলে আনতে পারে)।
আমার প্রসঙ্গ সেখানে না;
আমার বিষয়, দৃষ্টিকোণের হিসেবনিকেশ।
"আমরা মানুষরা কী ঘুনেধরা, গড়পড়তা
দৃষ্টিকোণ থেকে মুক্তিলাভ করতে পারি না?"
এই যে, মানুষ কথায় কথায় ইতিহাস নিয়ে আসে;
নিংড়ে আনে অতীতের ভবিষ্যৎ বানী।
কিন্তু কেন? নতুন কোন যুদ্ধের জন্য?
আমরা মানুষরা কী এক হতে পারি না
শুধু একটি দিনের জন্য?
বাঁচতে পারি না বৃক্ষ আর প্রাণীকুলের আলিঙ্গনে?
নাকি আমরা কেবল ক্লান্ত শ্রান্ত দেহে ঘরে ফিরব,
পকেটে এই বিল, সেই বিল ধারণ করে।
তারপর বুড়ো পৃথিবীটা বিকিয়ে দেব
কোন এক ধূর্ত বিলিয়নিয়ারের হাতে!
তারপর সেই বিলিয়নিয়ার, ট্রিলিয়নিয়ারে
রূপান্তরিত হয়ে পৃথিবীটার দিকে তাকিয়ে
গাইবে, "পৃথিবীটা ঘুরছে আমার আশায়"।