আমার খোঁজে চললাম আমি
কতদুর যাবো কোথায় যাবো
জানিনা, জানে ভাবনা রূপি
মোর একান্তের সেই অন্তর্যামী।


ভাবনা এল এই ৬৭ বছর বয়সে,
১৪২৭ এর ৩২ শে, জৈষ্ঠ্য মাসে।
একলা বসে বিছানায় প্রভাত বেলায়,
মনে হল আঁধারে ছেয়ে গেছে চারিধার
বিপদের ঘনঘটায়।
দুর্যোগের পর দুর্যোগ, করোনার পর আম ফান,
তুলিছে তুফান মানুষের এই ক্ষুদ্র জীবনে।
আরো কত কি? হয়তো আসবে নেমে,
এই কলিযুগে বুঝি কিছুই থাকবে না থেমে।


বিপদের পর বিপদ, ভাষা জাতি বর্ণভেদ,
সাদাকালোয় সংঘর্ষের হবে না কি ছেদ?
যুগ যুগ ধরে কাল এনেছে টেনে বর্তমানে,
কেউ খোঁজে শান্তির বাণী, কেউ আনে
হিংস্রতা টানি, ভাবি বসে অবাক বিস্ময়ে।
কোথা শেষ? কোথা শুরু? বুক করে দুরু দুরু,
কেউ হাসে, কেউ কাঁদে, কেউ আবার বাকায় ভুরু,
তাই আজ মোর পশ্চাৎ পানে এবার তাকানো শুরু।


        ছিল মোর মা বাবা, তাদের ও তাই,
ক্রমে ক্রমে যদি ওই সেই অনন্তের পশ্চাতে ধাই,
ছুটিতে ছুটিতে দম বন্ধ করে বুঝি এক শূন্যই পাই।
ওই সেই পরম শূন্য হতে এই মহাজগতের শুরু,
আর শুরু জীবনের, সাথে জড়ায়ে গেল, বাচন মরণের।


ছিল কি হোথায় ধর্ম বর্ণের, সাদা-কালোর, কোন ভেদাভেদ?
ছিলনা হিংসা-দ্বেষ আর ছিল না ব্যক্তিস্বার্থের থলথলে মেদ।
ক্রমে ক্রমে বাঁচার তাগিদে হলো জীবের ছুটতে এবার শুরু,
বাঁচার তাগিদে ঐ সেই আঁধার আলোতে হয় নাই তারা ভীরু।


ধীরে, ধীরে, পথ পার হয়ে ক্রমে, পশ্চাতে ফেলে যুগের পর যুগ,
বুকের সাহসে, ভাবনার জোরে চেষ্টা করেছে পেতে- একটু সুখ।
যদি ভাবি মোরা, হয়ে যাই তাঁরা এই দুঃসহ জীবন ছেড়ে,
থাকিবে না ঘর, শহর নগর, এই সবুজ মরুপ্রান্তর,
মিলেমিশে হবো একাকার তবেই চিনিবো আপনি আপনারে;
আমি, তুমি, সে, একাকার হবে আত্মায় আত্মায় মিলন বাহারে।
জ্যৈষ্ঠের শেষে আষাঢ় আসে, আষাঢ়ের শেষে শ্রাবণ,
এমনি করেই জীবন ধারা বয় যে যারে দেখেছে যেমন।


আমাদের এই ভূখণ্ড হিমালয়ের পাদদেশে,
ভাবতে অবাক লাগে ছিল সমুদ্রে মিলেমিশে।
জল থৈ থৈ চোখ বুজে রই, সুনিল দিগন্তজোড়া,
চলিছে ছুটিয়া অনন্তের পানে কালের ঐ ঘোড়া।
ছিলনা বসতি ছিল না কিছুই ছিল - নীল বারিধার
ভালোবাসার সুউচ্চ উর্মি চুমে যেত ঐ পাদদেশ
হিমালয়ের বারবার।


৩২ শে জৈষ্ঠ্য,,১৪২৭,
ইং ১৫/০৬/২০২০,
সোমবার সকাল,৮টা। ১০৩৮,১৫/০৬/২০২০।