আমরা লিখি কেন?
চর্বিত চর্বন একই ধারায়,
আজও বইছে যেন।


ভালোবাসার ঝর্ণাধারা বইছে,
আদিম সৃষ্টি হতে;
সৃষ্টি তাহার রূপ রস গন্ধে,
জগৎ মাতায় ছন্দে।


একই কথা লিখে যাই শুধু,
নানান ছন্দে, তালে;
বধুয়া আমার একই রয়ে গেল,
মধুর মনন জালে।


কাম, কামনা, যৌন, যাতনা,
সবই তো আগের মত;
লেখনি কেন চেতনা আনে না?
দুঃখ বাড়ায় যত।


কষ্ট পেলেই উথলি ওঠে,
সুপ্ত বারিধারা;
মনের আবেগে ডাকে বারেবারে,
অশ্রুসিক্ত যারা।


দৃষ্টি লেখনি, সৃষ্টি লেখনি,
লিখনী পথের দিশা;
পথ হারানো পথ পাবে বলে,
কাটাতে আঁধার নিশা।


এক জগৎ থেকে আরেক জগতে,
বেঁধে দেবে সিঁড়ি মনের আবেগে,
সেই সিঁড়ি বেয়ে তরতর বেগে,
যাক উঠে যাক নতুন যারা,
নতুন আলোয়, নতুন দিশা,
পাক খুঁজে পাক নবীনেরা।


পুরাতন থাক স্মৃতির পাতায়,
ভ্রান্তির ক্লান্তি লয়ে;
নতুনেরা কঠিন, সংকটের মাঝে,
সমাধান আনুক বয়ে।


তবেই লেখনি ধন্য হবে,
শূন্যতা যাবে দূরে;
লেখক, লেখনি, প্রজন্মান্তরে,
দাঁড়াবে আবার ঘুরে।


১৩ ই আশ্বিন, ১৪২৭,
ইং  ৩০/০৯/২০২০,
বুধবার, সকাল ৮টা।  ১১৪৯, ০৪/১০/২০২০।