বাঙালির জীবনে শুভ দিনে অশুভ পরিক্রমা
জানতে পারলাম মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শুনে।
13 ,14 অক্টোবর 2021 আর একটা কালো দিন
নামিয়ে আনলো পাকিস্তানি সমর্থক রাজাকার আর
আলবদরেরা। বাঙালির কলঙ্ক, বাংলাদেশের কলঙ্ক।


এই কি শেখ মুজিবুর রহমানের
ঘোষিত 25 শে মার্চের প্রাণের
বাংলাদেশ? হিন্দু, মুসলমান,
বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জাতি ধর্ম
নির্বিশেষে  রক্ত দিয়ে, প্রাণ দিয়ে
পাকিস্তানি  বর্বর শাসকের হাত
থেকে লাল  সবুজ পতাকা হাতে
নিয়ে লড়াই  করে ইন্দিরা গান্ধীর
সহায়তায়  বিশ্বে প্রথম স্বল্প দিনের
সংগ্রামে  স্বাধীনতা আদায় করেছিল।
শুরু  হয়েছিল একক বাঙালি জাতির  
দুর্বার যাত্রা শুরু। নয় হিন্দু নয় মুসলিম
নয় বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, সবাই মিলে বাঙালি
আমরা গেয়েছি বাংলার জয় গান। কত
জ্ঞানীগুণী  দিয়েছে প্রাণ বর্বর পাকিস্তানীদের  
হাতে। তাঁদের সম্মান রাখতে আজ  বাংলার
মহামান্য সরকারকেই  এগিয়ে আসতে হবে।
জাতির পিতা  যেমনটি চেয়েছিল- প্রধানমন্ত্রী
কন্যা তাঁহার, বাস্তবে রূপ দিতে হবে তাঁরে ।
এমন পিতার কন্যা কেন হেরে  যাবে ওই
দুর্বৃত্তদের কাছে? এরাই  সেই রাজাকার,
আলবদর,  পাকিস্তানীদের দোসর ।
পরিকল্পিতভাবে একই দিনে এই ঘটনা
ঘটানো হলো ঠিক যেন বাংলা ভাইয়ের
মতো। এই আঘাত শুধুই হিন্দুদের উপর
নয়, এই আঘাত বাংলাদেশের সরকারের
প্রতি হুঁশিয়ারি পাকিস্তানি সমর্থক ওই
আলবদর আর রাজাকারের। এখনই যদি
সরকার কঠোরভাবে দমন না করতে পারে
তাহলে হয়তো বাংলাদেশে তৈরি হবে আরেক
ডালিম। স্বাধীন বাংলাদেশর আবার কি হবে
পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন? নানান মহলে নানান
কথা আসছে ওঠে, সন্দেহের তীর কি
থাকবে সরকারের দিকে? সরকারকেই মিথ্যা
প্রমাণ করতে হবে সেই প্রচলিত প্রবাদের -
" চোরকে বলে চুরি করতে গৃহস্থ কে বলে
সজাগ থাকতে" । অত্যাচারীতোদের মনে
প্রশ্ন আসতেই পারে, স্বাধীনতার পর থেকে
ক্রমপর্যায় যে ঘটনা ঘটেই চলেছে ভয় দেখিয়ে
উৎখাত করে বিধর্মী ওদের সম্পত্তি জবর
দখলের লাখো লাখো প্রমাণ ছড়িয়ে সারা
বাংলাদেশে। একটু হিসাব করে চলতেই হবে
বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু বৌদ্ধ
খ্রিস্টানদের সংখ্যা কত? নিশ্চয়ই দুই কোটির
উপরে নয়। এরা যদি  বাস্তুচ্যুত হয় তার প্রতিক্রিয়া
পার্শ্ববর্তী দেশের উপহার হতেই পারে ফলে যে
পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে হয়তো এক ভয়ানক রূপ
নিতে পারে। তাই সরকারের প্রতি একান্ত অনুরোধ
আমরা আবার 1947 কিংবা 1971 ফিরে যেতে
চাই না। বাঙালি বুদ্ধিমান জাতি, বাঙালি ভবিষ্যৎদর্শী।
বাঙালি যাহা আজ ভাবে সারাবিশ্ব ভাবে তার পরের
দিনে। তাই আবার বলি মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনাকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে,
তা যতই কঠিন হোক না কেন। যদি তাহা  না পারেন
তাহলে কি আমাদেরকে আরেকটা কাল দিন যাহা
মুজিবর রহমানের বেলায় ঘটেছিল তেমন একটা
দিনের অপেক্ষায় থাকতে হবে? আমরা বাঙালি জাতি
চাইনা  জাতির পিতা মুজিবুর রহমানের জীবনে
যাহা ঘটেছিল তাহার আবার পুনরাবৃত্তি হউক। আমাদের
বাঙালি জাতির চোখে আবার অশ্রু ঝরুক। বিশ্বাস নেই
ওই পাকিস্তানি সমর্থক রাজাকার আর আলবদরদের।
সত্যকে লুকিয়ে রাখার সময় শেষ হয়ে গেছে তাই
সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত এখনই নিতে হবে মুখের
কথায় নয় কাজের মাধ্যমে। বাঙালি আর প্রত্যক্ষ
সংগ্রামের সম্মুখিন হতে চায় না সে কথা মাথায় রেখে
সরকারের চলা উচিত। যারা অপরাধী তাদের কে
কোনভাবেই ক্ষমা করা যায় না। এরা ক্ষমার অযোগ্য।
স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়ন এরা চায়না। এরা নিজেদের
স্বার্থে নিজেদের ভাই বোনদের জবাই দিতে পারে।
আজকে যারা সংখ্যালঘুদের অত্যাচার দেখে নিরব
হয়ে আছেন একদিন যখন সেই অত্যাচার আপনাদের
উপরে নেমে আসবে তখন কি হবে? পারবেন কি সুখে
থাকতে? তাই বাংলার বাঙ্গালীদের প্রতি একান্ত আহ্বান
যারা বাঙালি জাতিকে ভালোবাসেন এগিয়ে আসুন
জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে হাতে হাত মিলিয়ে অন্যায়ের
বিরুদ্ধে গর্জে উঠি। যে অমানিশার নিশা বাংলাদেশকে
গ্রাস করতে চায়, তাহা সরিয়ে নবীন সূর্যের আলো
প্রবেশের পথ আমাদেরকেই তৈরি করে দিতে হবে।


সময় যে আর নাইরে বন্ধু ওঠো এবার জেগে,
বাঙালির ওই ঐক্যতানে ওরা সবাই যাবে ভেগে।


আমরা পাকিস্তানিদের তাড়াতে পেরেছি 10 মাসে
আর দালালদের তাড়াতে পারবো না 50 বছরে?
মায়ের বুকে যারা ফাটল ধরাতে চায়, স্বাধীন
বাংলাদেশ সরকার কেন নেবে তাদের দায়?


মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতি একান্ত আহ্বান -
ভাবুন- সবাই মিলে ভাবুন। "Nobody gives
you freedom, You will have to fight for
it. Nobody fights for you. You will have
to fight for your self." তাই মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীকে
আজ ভাবতে হবে জাতির পিতার সম্মান রাখতে ।
কেউ আপনার ভাবনা  ভেবে দেবেনা, আপনার
ভাবনা আপনাকে ভাবতে হবে। বাঙালি জাতির
মাতা তার সন্তানদের মঙ্গলের জন্য নিজের মত
করেই তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সন্তানদের
সুখের জন্য মায়ের লড়াই স্বভাবতই কঠিন লড়াই।
মাকে এ লড়াইয়ে জিততে হবে ছোট বড় সকল
সন্তানের কথা ভেবে। তা না তাহলে একদিন
হারিয়ে যেতে হবে ব্যর্থ মায়ের দায় মাথায় নিয়ে।
মায়ের প্রতি বিশ্বাস রেখে সন্তানরা সবাই আছে
চেয়ে শুধুই শান্তিতে সুখে থাকবে বলে। মায়ের
চোখে নিরপেক্ষ দৃষ্টি নিয়ে বর্তমান ধারার সংশোধন
করে বাঙালি জাতিকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
জাতির পিতার কন্যা তুমি মাতৃরূপী বাঙ্গালীদের
আজ সকল দায় তোমারই মা; সে দায় তুমি
ঝেড়ে ফেলতে পারো না।


জয় বাঙালি ,জয় বাংলা,
বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হউক।
শুভ বিজয়ার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল
বাঙালি জাতির জন্য।


২৯ শে আশ্বিন, ১৪২৮।  
ইং ১৬/১০/২০২১,
শনিবার সকাল ১০:৩৪। ১৪৭১, ১৬/১০/২০২১।