মৃত্যুভয় কি ভাবে করেতে হবে জয় ?
ভাষা বাংলা ও বাঙালি মানুষকে শেখায়।
স্বাধীন বাংলা ভাষার ভগিরথ
           আমরা যারে বলি,
উনিশশো সাতচল্লিশে পাকিস্তানের গণপরিষদে
বাংলা ভাষার অপমানের জন্য ঝড় তুলেছিল,
        তুলেছিল বাংলা ভাষার দাবি।


নামটি তাহার শ্রদ্ধেয় ধীরেন দত্ত,
           ছিল ঢাকায় বাসস্থান;
পঁচিশে মার্চ উনিশশো একাত্তর গভীর রাতে
বুদ্ধিজীবীদের সাথে খুন করেছিল,
         দুর্বৃত্ত পশুসম ইয়াহিয়া খান।


রফিক শফিক বরকত সালাম আরো কত নাম,
        রক্ত দিতে পিছপা হয়নি;
প্রিয় মায়ের ভাষার স্বাধীনতার জন্য,
        বুকের রক্ত করতে দান।


রাজকুমার চক্রবর্তী আর ধীরেন দত্ত,
        ঝড় তুলেছিল করাচির গণপরিষদে;
দ্বিজাতি তত্ত্বের কর্ণধারেরা শুনেছিল ভাষণ,
                সবাই অবাক বিস্ময়ে।


অধ্যাপক চক্রবর্তী বলেছিলেন যারা -
        ধর্মের ধ্বজা ধরে দেশ ভাগ করে;
তারা কি পারে? একজন মানুষকে,
         সত্যি কারের হিন্দু কিংবা মুসলমান বানাতে?


আইনের দ্বারা কভু যায়না করা সত্যিকারের
           একজন হিন্দু বা মুসলমান;
মানুষের হৃদয়ের শোধক আর শুদ্ধতা
             একান্তই অন্তরের চেতনার দান।


রাজকুমার চক্রবর্তী পারিত উদ্ধৃতি দিতে,
পবিত্র কোরআন ও বেদ থেকে অনর্গলভাবে।
তাকে বলা হত শ্রদ্ধেয় মৌলভী চক্রবর্তী,
ওই পাকিস্তানের করাচির গণপরিষদে।


এস ওয়াজেদ আলী বলেছিলেন -
বাঙ্গালী সে হিন্দু কিংবা মুসলমান,
পূর্ববঙ্গ হবে বাঙালি জাতির একান্ত প্রিয় রাষ্ট্র,
আর এই বাঙ্গালীদের গর্বের পীঠস্থান।


তাহাই হলো অবশেষে বঙ্গবন্ধু মুজিবের হাত ধরে,
                      উনিশশো একাত্তরে;
লক্ষ লক্ষ প্রাণ দিল এই বঙ্গভূমির স্বাধীনতার তরে,
                     সোনার বাংলা গড়বে বলে।


মাইকেল, রবি কবি, জসিম উদ্দিন আরও কত শত জন,
          বাড়ায়েছে বাংলা মায়ের সম্মান;
বাংলা মোদের তপ্ত শোণিত,জীবন মোদের কঠিন গণিত,
          এই বিশ্বজগতকে শিক্ষা করে দান।


মধুর ভাষা  বিশ্ব মাঝে, লাগছে তাহা সৃষ্টির কাজে
      বাঙালিরাই ছড়িয়ে দিল সৃষ্টি সুধা জগৎময়;
নোবেলজয়ী বিশ্বসভায় এই বাংলা মায়ের সন্তান বেশি
      আমরা নির্ভীক আমরা সৈনিক অকুতোভয়।


৭ই চৈত্র, ১৪২৬,
ইং ২১/০৩/২০২০,
শনিবার সকাল ৮টা। ৯৫২, ২২/০৩/২০২০।