বিন্দু থেকে সেই সিন্ধু,
দেখি অনন্তের ওই ইন্দু,
গতিময় তারা নিজের পথে।
পরমাণু থেকে সৃষ্ট অনু,
অনু থেকে আবার দেহ,
বুঝতে পারে কি কেহ?
যেমন আকৃতি তেমন প্রকৃতি,
তাই নিহারী অনন্ত বিশ্ব,
আহা! কি অপরূপ দৃশ্য!
দেখি জন্ম থেকে মৃত্যু,
ওই জীবন পথে পরান
নাইরে তাহার জিরাণ।
ক্ষুদ্র সীমায় বদ্ধ প্রাণ,
তাই পাই তাহার ঘ্রাণ,
পারে কি কেউ করতে ত্রাণ?
ওই অধরাকে ধরতে গিয়ে,
সাধন মার্গে দেয় যে নাড়া,
খুঁজতে গিয়ে হয় যে হারা।
এই জীবনে হারায় দিশা,
পেয়ে বসে ধর্মের নেশা,
আপন ছেড়ে পর ঘেষা।
মত, পথ, সকল ছেড়ে,
খোঁজে যদি নিজের করে,
তবেই বিন্দুর খোঁজ পেতে পারে।
৩০ শেষ আষাঢ়, ১৪২৭,
ইং ১৫/০৭/২০২০,
বুধবার বেলা ৩:০৩। ১০৭২, ১৯/০৭/২০২০।