সারা রাতের ফাষ্টিংটা-
আমি ব্রেক করলাম ভোরে;
শুনবে তোমরা সেই গল্পটা,
এই বয়সে করি কেমন করে?
ঘুম থেকে উঠে এসে-
জাস্ট বসলাম কম্পিউটারে,
রাতের জমা কথাগুলো,
মাথায় এসে ভীড় করে।
মাথার বোঝা হালকা করবো
ভাবলাম আপন মনে;
এমন সময় গিন্নী এসে-
দাঁড়ায় আমার সনে।
ভারী গলায় বোললে আমায়-
হ্যালো-ওষুধ খেয়ে নাও;
বললাম-কোন ওষূধটা খাব আমি?
যদি একটু এনে দাও।
সুগারের ওষুধ দিয়েই আমি-
প্রথম ব্রেক করলাম ফাষ্ট;
দশ মিনিট পরেই গিন্নী,
টেবিলে খাবার করল কাষ্ট।
পটল ভাজা, মাছ ভাজা,
সাথে পেঁপের কারী;
আর দুইখানা আটার রুটি,
যাহা ভীষণ দরকারি।
আলুর দেখা নাইরে ভাই-
ও যে ভীষণ খারাপ;
আলুর সাথে চিনি মিশে,
দেহের সুগার বাড়াক।
সুগার ফ্রি মিষ্টি বড়ি,
ছানায় আমার বরাদ্দ;
মিষ্টি লোভী মানুষ্টাকে,
করছে রে ভাই জব্দ।
ফলের কথা বলবো কি ভাই,
সাক আলু আর পানিফল;
মিষ্টি ফলের দেখা নাই,
কেমনে পাবো দেহে বল?
এই তো আমার ব্রেকফাষ্ট,
সবার কাছে আনলাম লাস্ট,
তোমরা একটুখানি ভেবে দেখো;
সবাই যদি এলার্ট হও,
আর আমার মত কষ্ট না চাও,
খাবার অভ্যাস এমনি করে শেখো।
২২শে কার্তিক,১৪২৪,
ইং ০৯/১১/২০১৭,
বৃহস্পতিবার, সকাল ৯.৩০মিঃ।