চৌষট্টির শেষে-
                 উদাস উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টি,
পশ্চাত পানে ফিরে দেখি,
             ফেলে আসা কত সৃষ্টি।
সব ফেলে সম্মুখ পানে যেতে হবে,
কালের গতির সাথে তাল মিলিয়ে।
কেউ শুনবে না আমার কথা,
        হৃদয়ের সেই গোপন ব্যথা।
হিমশীতল অন্ধকারে আমার চোখ
ঝাপসা হয়ে আসে, তবুও আমায়
যেতে হবে। কেউ আমার জন্য
অপেক্ষা করবে না ক্ষনিকের তরে।


আজ আর আমার দেহে বয় না তো
ঐ তারুণ্যের তপ্ত শোণিত, যে হ্যাঁ কে
না করতে পারতো। পদযুগল আর বইতে
চায় না দেহের ভার। এক সময়ের সেই
শক্ত কঠিন দেহ, আজ লতা-গুল্মের মত
পর-নির্ভর। মনে হয় অস্তাচলের ছবি-
ক্রমে ক্রমে প্রকট হয়ে উঠছে ঘন ঘোর
তমসায়; নীরব নিষ্ঠুর সেইক্ষন প্রানের মাঝে
হবে কি অক্ষয়? ঐক্ষনে প্রকৃতিতে বইবে
দক্ষিনা বসন্তের বাতাস, আর আমি ফেলে
যাব তপ্ত সকরুন বিষন্ন নিঃশ্বাস। ঈশান
কোন থেকে ছুটে আসবে কালবৈশাখী; ছেয়ে
যাবে ঘন অন্ধকারে, লুপ্ত হবে আমার অতীত,
বর্তমান ভবিষ্যতের সেই দুর্বিনীত মৃত্যুর কাছে।


৩রা শ্রাবন, ১৪২৪,
ইং ২০/০৭/২০১৭,
বৃহস্পতিবার, বিকেল ৪.৫৫।