বামপন্থার দিকভ্রষ্ট জগৎ জুড়ে দেখি;
সমাজতন্ত্রের নানান রূপ ভাবি হলো একি!
সাম্যবাদের নানান ছক ওই ধনতন্ত্রের মত,
শিক্ষায় মার্কসীয় তথ্য প্রয়োগ হয়নাই যথাযথ।


সমাজতান্ত্রিক মানসিকতা তৈরি করতে গেলে,
আত্মিক বন্ধন চাই যেমন মোম আগুনে জলে।
মায়ের সাথে সন্তানের জোগ যেমন করে গড়ে,
তেমন করেই সমাজতন্ত্রের প্রয়োগ ধীরে ধীরে বাড়ে।


সহজ সাধ্যি  নয় যে মোটেই ধর্মতন্ত্রের মত;
যেমন খুশি তেমন চলবে ইচ্ছা তোমার যত।
ইচ্ছা হলেই টেনে তোলা, নয়তো ছুঁড়ে ফেলা,
যেমন খুশি মুখে আসে তেমন খুশি বলা।


সমাজতন্ত্র মায়ের রক্ত সন্তানের বুকে থাকে,
সন্তান তাঁহার কেমন আছে দেখে শত কাজের ফাঁকে।
সাম্যবাদের ওই আদর্শতে সমান আমি, তুমি,
জীবনের মূল্য সবার সমান যেন মা ও মাতৃভূমি।


দেখো চেয়ে চীন, রাশিয়া, তাদের দৃষ্টিকোণ;
সাম্যবাদের মূল্য কোথায় যেন যুযুধান ভাই বোন।
একটা দেশ ভেঙেই গেল টুকরো টুকরো হয়ে;
রাষ্ট্রপ্রধান বিক্রি হলো ধনতন্ত্রের গান গেয়ে।


দেশ গেলো জাত গেলো জনগণের দুঃখের সীমা নাই;
বলো বন্ধু কেমন করে সাম্যবাদে  আস্থা ফিরাই?
ধণতন্ত্র ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষা করে, যে যেমন পারে;
প্রয়োজনে আগুন লাগায় তন্ত্রী নিজের ঘরে।


জোতদারি, জমিদারি, নয়তো গণতন্ত্রের নামে;
ক্ষমতায় থাকতে হবে রক্ত কিংবা অর্থের মূল্য দামে।
বিভেদকামী ধণতন্ত্র দেখি এই জগতে চলে;
ধর্ম বর্ণে বিভেদ তাই সৃষ্টি গায়ের জোরে।


ভাইয়ে ভাইয়ে বিভেদ করায় ওই সম্পত্তির লোভে;
আর ভাই ভাইকে খুন করে মনের সৃষ্ট ক্ষোভে ।
শান্তি যদি পেতে চাও লালন, গৌর, ধরো;
ওঁরা সাম্যবাদের পরাকাষ্ঠা বুকে জড় করো।


তবেই তুমি আনন্দ পাবে শুরু থেকে শেষ;
ভালোবাসায় জগৎ বাঁধ তবেই  রবে শান্তির রেশ।
দুদিনের এই ঘর সংসার সবই পড়ে রবে;
মিলেমিশে আপন হয় থাকো এবার সবে।


১২ ই আশ্বিন, ১৪২৮,
ইং ২৯/০৯/২০২১,
বুধবার বিকেল ৪:০৪। ১৪৫৫, ৩০/০৯/২০২১।