আমি জন্মাতে পারি বস্তির কোন কুঁড়েঘরে,
মাটিতে, ছেড়া কাঁথায়,কিংবা কোন অট্টালিকার
অলিন্দে স্বর্নখচিত পালঙ্কে। তাতে কি যায়
আসে? আমার পরিচয় আমার কর্মে। আমি-
আমার কাজে কতটা উৎসাহি, বড় হওয়ার
পিছনে আছে কতটা কঠোর পরিশ্রমের স্বার্থক
সংকল্প, তার উপরেই নির্ভর করবে আমার
বড় হওয়ার স্বপ্ন। উচ্চাকাঙ্ক্ষা না থাকলে
না পারবো নিজের মঙ্গল সাধন করতে, না
পারবো সমাজের হিতার্থে কিছু করতে। আমাদের
সমাজে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাকেই প্রায়শই- ব্যক্তি
বিশেষের অহংকার বলা হয়ে থাকে। শিক্ষার
প্রথম ভাগে অহংবোধ না থাকলে যেমন শিক্ষা
লাভ হয় না; ঠিক তেমনি আবার শিক্ষা না
থাকলে ব্যক্তি অহংবোধকে অবদমিত করে
মানুষের মঙ্গলের কথা ভাবা যায় না। যেমন
ভালোর সাথে মন্দ জড়িত, তেমনি মন্দের সাথে
ভালো, ঠিক অনুরূপ জীবনের সাথে মৃত্যু।আমরা  
যদি এই অহংবোধকেই অধ্যবসায়ের স্বভাবটার
সাথে এক করে বুঝতে চেষ্টা করি তাহলেই বোধহয়
থাকবেনা একের সাথে অপরের দ্বন্দ। তবেই সেই
কর্মকে ধর্ম বলে ভাবতে পারবো,পারবো জাতি,
দেশ,পরিশেষে মানুষের মঙ্গল কামনায় জীবনকে
উৎসর্গ করতে। তাই বলি কর্মই ধর্ম জীবনের বর্ম।


৪ঠা আশ্বিন, ১৪২৪,
ইং ২১/০৯/২০১৭,
বৃহস্পতিবার,সকাল ১০টা।