এসে বছর শেষে, চোখে ভাসে,
            সারা বছরের ফেলে আসা ঘটনা;
হেথা-কি পেলাম, কি না পেলাম,
           কেউ বলে এটা না পাওয়ার রটনা।


রাজনীতি, সমাজনীতি, নীতি বোধের ভাবনা,
           তার মাঝে ভেসে ওঠে বোধহীনতা;
উৎসব, মহোৎসব, আর যত আনন্দের মেলা,
           সব শেষে অনুভবি, সেই বিপন্নতা।


অন্ধ, বিকলাঙ্গ, সাথে বিভ্রান্তির ছায়া,
          সাদা পায়্ররা হয়ে যায় শকুনীর কায়া;
গালভরা প্রতিশ্রুতি আর বড় বড় কথা,
          সবই যেন মরুপথের মরীচিকার মায়া।


মা, বোনেরা হারায়েছে ইজ্জৎ তাঁদের,
     ব্যক্তি কিংবা সংঙ্গবদ্ধ মানুষরূপী পশুদের কাছে;
যুবক-যুবতী হারায়েছে কাজের অধিকার,
     দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আনন্দে নাচে।  


কোথা পাবে? কে দেবে? আমাদের-
          কাজের সেই সনাতন মৌলিক অধিকার;
সব আছে, কেউ নাই নিতে দায়ভার,
         এই সীমাহীন জগৎটা বন্ধু-তোমার আমার।


আমার, তোমার আর প্রকৃতির অফুরন্ত এই সম্পদ,
              বিকায়ে যাবে সব অতি সংগোপনে;
ব্যক্তি স্বার্থে, গোষ্ঠী স্বার্থে, আর ধর্মের ধ্বজা ধরে,
             কিছু মানুষের বৈকল্য ভাবনার টানে।


১৪ই পৌষ, ১৪২৪,
ইং ৩০/১২/২০১৭,
শনিবার বিকেল ৫টা।