মহালয়ার পিতৃতর্পণের তিথি প্রাক অমাবস্যার আঁধারে কেন হলো?
পুণ্যময় স্রোত বয়, তাই গঙ্গার তীরে মানুষের ঢল। এ পুণ্য কি
শূন্য নয়? পেয়েছে ভয়, আঁধারকে সম্মুখে রেখে হয়তো হবে কিছু
অর্থের উপায়। সত্য সে যে আলো মুছে যায় কালো। সেখানেই  
মিথ্যা রূপি আঁধারের ভয়; জেনে যাবে মানুষ একদিন নিশ্চয়।

তর্পন কাহার? তিনি কোথায়? চারিধার যে আঁধারে ঘেরা, গভীর    
অন্ধকার। পুণ্য বলি কারে? অর্থের বিনিময়ে তর্পন তর্পিত হলো,
তাই বুঝি সব পুন্যময়? হায়রে মহালয়া এই কি সেই পুণ্য তিথি?
যমুনার তীরে আজ ও কি আছে সেই নীপবিথি? কৃষ্ণ বাজাবে বাঁশি
শুনিবে রাধা আসি। ছলাৎ ছলাৎ শব্দ করিবে রাধার কাঁখের কলসি।
সখীদের সাথে বিবস্ত্র হয়ে জলকেলিতে নামিবে রাধা। সব বস্ত্র করিবে
হরণ ছিল কি কৃষ্ণের এতটূকু শরম? ছিল না কেহ হোথা, কে করিবে
বারণ। এই তো ছিল সেই যুগের ধরন।


যাক কেটে রাত প্রভাতের রবির কিরণের সাথ। ওহে পুণ্যময় মহালয়ার
ভয়, কেটে যাক মানুষের অন্তর হতে, দীপশিখার উজ্জ্বল আলো ছড়াক
আকাশতলে মুক্ত হাওয়ায় এই পুণ্য মহালয়ায়। অন্ধকার কাটিয়ে নিয়ে,
আলোর মালায় ভরিয়ে দিয়ে পুণ্য হউক, মঙ্গল হউক জীব ও জীবনের।  


২১শে আশ্বিন, ১৪২৫,
ইং ০৮/১০/২০১৮,
সোমবার, রাত ১২.১০মিঃ। 603 dtd 08/10/2018.