ঐ যে- হৈমাবতী এসে ছিল, বছর ঘুরে আবার আসার সময় হলো, তাই তো বুঝি শরৎ এলো। পথে, ঘাটে, নদীর পারে কাশফুল হাওয়ায় দোলে। হারিয়ে যাওয়া সেই বছর আগের কথা, তাঁরে বলেছিলাম মনের যত ব্যথা। বিদ্যাং দেহি, ধনং দেহি, শক্তিং দেহি, রূপম দেহি, জয়ম দেহি, যশো দেহি, শান্তিং দেহি, তাঁর দেওয়ার কথাছিল আরও কত কি; দেয়নি কিছুই নিয়েছে শুধুই, উজাড় করে আমরা দিয়েছি। অসুরদলনী কিছুই বোঝেনি আমরা মায়ের কাছে কি  চেয়েছি।


বুঝি- আসুররা তাঁর শক্তি পেয়ে মোদের ধনসম্পদ জমির  ফসল কেড়ে নিয়ে আজ বিষয় আশয়ের মালিক হয়েছে। শুধুই কি বিষয় আশয়? মায়ের কোল খালি করে মায়ের সন্তান কেঁড়ে নিয়েছে। ভাই হারালো ভাইকে তাঁর, বোন হারালো তাই, স্বামীহারার স্বামী আমরা কোথায় খুঁজে পাই? অত্যাচারে অত্যাচারে দিনের আলো আঁধার হলো, প্রতিবাদী মানুষেরা মাওয়াবাদীর তকমা পেলো। এই আঁধার রাতে আমরা কোথায় পাবো আলো বলতে পার? তাই তো বলি হৈমাবতী কেন তুমি আসবে হেথায়? যেথায় আছো ভাল আছো কৈলাশে ওই  শিবের বাসায়। আমরা বরং এঁকে এঁকে যাবো চলে শিবালোকে দেখা হবে সেই আলোকে।


তোমার আসার খবর পেলেই মিনিঅসুররা সব বিড়াল থেকে বাঘ হবে আর হালুম-হুলুম করে জনগণের ঘাড় মটকাবে। পূজার নামে চাঁদার জুলুম মাঠে, ঘাঁটে, হাটে, বাটে, শান্তিপ্রিয় মানুষ ঠ্যাঙাবে। তাই তো বলি হৈমু তুমি অসুর নিধন করবে কি? বারে বারে আশ্বাস দিয়ে তোমার প্রতি মোদের বিশ্বাস ভাঙছ যে। আবার বলি পারো যদি ওগো মাতৃরূপী হৈবাবতী অসুর গুলো তুলে নেও শিবালয়ে ঐ কৈলাশে তাই, ধরার মানুষ আমরা সবাই একটুখানি শান্তি যে পাই। মিথ্যা আশ্বাস দিওনা আর শক্তি, শান্তির মন্ত্র পড়ে এসে এই ধরার পরে। তোমার নামে ব্যবসা করে শাসক শোষক জগৎ জুড়ে।


২১শে ভাদ্র, ১৪২৫,
ইং ০৭/০৯/২০১৮,
শুক্রবার, বিকেল ৪টা। 576 dtd 06/09/2018.