দেখো স্রষ্টার সৃষ্টির হাওয়া,
জগত জুড়ে বইছে ধীরে;
নিজ হাতে গাঁথছে মালা,
সে একটু একটু করে।
অপূর্ব এক নকশি কাঁথা,
মন ভুলানো সৃষ্টি ধারা;
অবাক হয়ে দেখছি সবাই,
ধরার পড়ে আমরা যারা?
নিজের মনে সেলাই করে,
জগৎজোড়া নকশি-কাঁথা;
নানান রূপের নকশা তাহার,
মনের মাঝে আছে গাঁথা।
মাঠে-ঘাটে দিগ দিগন্তে,তেপান্তরে
কোথাও সবুজ ফুলে ফলে;
আবার কোথাও সাগর বইছে ধীরে,
পাখি উড়ে দলে দলে।
দেখো পাহাড়ে ঘেরা সবুজ ধরা,
চোখ জুড়ানো নকশি-কাঁথা;
মরুভূমির সবুজ প্রাণ, মোরুউদ্যান,
তপ্ত রোদে প্রাণের ব্যথা।
হিমশীতল ওই পাহাড় চূড়ায়,
সৃষ্টি রসে নয়ন ভুলায়;
কুলকুল রবে বইছে ধারা,
ছুটে চলে আবেগ দোলায়।
পশু পাখি বনের মাঝে,
খেলা করে আপন মনে;
ফুলে ফুলে সাজিয়ে তারে,
খেলছে স্রষ্টা সৃষ্টির সনে।
আকাশ ভরা তারা যেন,
মনি মুক্তার আধার হেন;
সূর্য চন্দ্র দিচ্ছে আলো,
নকশি-কাঁথায় এমন কেন?
বরফ ঘেরা মেরু প্রদেশ,
মন ভুলানো রুপ ছড়ায়ে;
জলের মাঝে মৎস্যকন্যা,
আছে বুঝি হাত বাড়ায়ে।
এমন রংবেরঙের সেলাই গাঁথা,
যেন সুখ দুঃখের মনের ব্যথা;
দেখো সবাই চক্ষু মেলে,
জগৎজোড়া নকশি-কাঁথা।
১লা পৌষ, ১৪২৫,
ইং ১৭/১২/২0১৮,
সোমবার রাত 10:40 মি:। ৬৫৫ তাং ১৮/১২/২০১৮।