সারা রাত জাগি স্বপ্নালু চোখে,
              জীবন-কবিতার ছবি আঁকি;
জন্মের পরে ঐ মায়ের কোলে,
         হৃদয়ের আবেগে জড়ায়ে থাকি।


মায়ের বক্ষ-সুধা মিটায়েছে ক্ষুধা,
              অবুঝ বোঝে নাই তো কিছু;
আহা!কত সুখ, হাসি হাসি মুখ,
           ছুটি নাই লোভ, লালসার পিছু।

হামাগুড়ি শিখি, নতুনকে দেখি,
                  দেহের রক্ত ঝড়িছে কত;
ঠাকুমা বোলতো-“ দস্যি ছেলে,
                     ও তো কষ্ট পাবে শত।


কৈশোরে আসি, আনন্দে ভাসি,
            ঝড়ো হাওয়ায় ছুটেছি গ্রামময়;
সবুজ প্রান্তর ঐ গ্রামের অন্তর,
             মনের খাতায় সেই স্মৃতি বয়।  


যৌবনে আসি লেখাপড়া শিখি,
                 ছুটিলাম প্রতিষ্ঠার লোভে;
কভূ ভাবি নাই, আপনজনদের,
                     আমি হারালাম কবে?


মায়ের আদর, বাবার স্নেহ,
      মেলেনাই কভূ জীবনে চলার পথে;
মরুভূমি সম ধুঁ ধুঁ প্রান্তর,
          শুধুই ছুটেছি কুহক মায়ার রথে।


অবসরে এসে ভাবনায় বসে,
                   চোখে নতুন ছবি ভাসে;
নিথর মোর দেহ সাজাইছে কেহ,
               বসে- ফুল মালিকার বাসে।


নিয়ে যাবে মোরে, কাঁধে করে ওরে,
            আল্লাহ কিংবা হরি বোল বলে;
নাই- ঠাই নাই, বলে যে সাবাই,  
         পায়ে হেঁটে শ্বশানের দিকে চলে।


১৩ই অগ্রহায়ন,১৪২৪,
ইং ৩০/১১/২০১৭,
বৃহস্পতিবার, সকাল ৯টা।