যত অন্যায় সকল দায় ওই জনগণের,
ন্যায়ের মুকুট পরে বসে আছে শাসক
ঐ সিংহাসনে, সেজে - বসনে ভুষণে।
শাসক শোষক কিছু করে নাই;
দেশের মানুষ দেশেই পরিযায়ী তাই!


কেউ থাকে বাংকারে লুকিয়ে,
কেউ সুরক্ষিত রাজভবনে,
মুক্ত গগন তলে রবে জনগণে।
ফলে দায়ী তো তারাই হবে,
পরের কাঁধে কাঁঠাল ভেঙে তাহলে কে খাবে?


পাষণ্ড পশুর দল, কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করে,
তাদের মুনাফা বাঁচাতে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
"কর" ছাড় দিতে হবে; আর দেশের মালিক যারা
না খেয়ে উন্মুক্ত আকাশ তলে উপরে তাকিয়ে রবে।


জনগণের অর্থে, দেশের যত পরিকল্পনা বাস্তবে রূপায়িত
হয় আর তার ফল ভোগ করে সমাজে মাত্র কতিপয়!
আহারে দেশ! আহারে শাসন! আহারে জনগণ! হেথা
কে কার আপন? তবুও বাচায়ে রাখতে হবে ঐ সেই
প্রাণ ধন, রাজ্য, রাজপাট আর এই আসন!


শাসকে শাসকে দেখো এত গালাগালি আর সময়ে সময়ে
চিঠি চালাচালি, মানুষের দৃষ্টি প্রকৃত সত্যের থেকে ঘুরায়ে
দিতে; নিজেদের আখের গোছায়ে নিতে। ওদের অন্যায়ের
বিচার হবে প্রহসন, চোখ বাঁধা বিচারকের কাছে। একই
অন্যায় জনগণ যদি করে তবে ওই বিচারক তাকে ফাঁসি
দিতে পারে একবার নয় শত শত বারে।


দেখে এই দৃশ্য শেষে মোরা বলি শুধু গলার জোরে,
একদিন বিচার হবে ওদের ঐ উপরওয়ালার ঘরে।
হায়রে জনগণ! এই তোর মন, দেবতা হয়েছিস বটে,
এত অত্যাচার সয়ে, ভাবি কি রত্ন রয়েছে তোর, ওই
হৃদয় গহ্বরের ঘটে? হয়ে হতবাক, বিস্ময়, দেখি একোন
করুনার ধারা জনগণ দুই বাহু বাড়ায়ে ছড়ায় জগৎময় !


৩২ শেষ জৈষ্ঠ্য,১৪২৭,
ইং ১৫/০৬/২০২০,
সোমবার বেলা  ৪:২২।  ১০৪০, ১৮/০৬/২০২০।