কবি- জ্বলন্ত সনাতন বিশ্বাসের ছবি,
প্রকৃতির চিরন্তন ধারা রেখেছে ধরে,
      সত্যকে বুকে লয়ে;
ভাবনায় অন্তঃসত্ত্বা কবিরাই এনেছে বারতা,
অন্ধকার পৃথিবীর শোষিত মানুষের কাছে,
শেষ হয়ে যেতে দেয় নাই জগতের মানুষকে,
           ঐ বর্বর বর্গীদের হাতে।  


শাসকের রোষানল কবি-দর্শনে যোগায়েছে বল,
শত দুঃখে তাঁরা ছাড়ে নাই কঠিন রণক্ষেত্র,
মানুষের পাশে মুক্তির আশে,
         লেখনী চলেছে কারার অন্তরালে;
         ইতিহাস আজ সেই কথাই বলে।


কবিরা জানে কোথা যাবে তাঁরা,
মায়ের সন্তান সবাই যে মোরা।
    জগতের মানুষ সবাই আমরা ভাই ভাই,
     একের দুঃখে অপর আজও কাঁদে তাই।

শত নির্যাতন আর বর্গীয় শোষণ,
কবিদের পারে নাই টলাতে,
কঠিন সত্যের পথে রক্ত ঢেলে-
          আঁধারকে মুক্ত করেছে আলোয়।


আজ যেন অর্থের লোভে, ক্ষমতার লোভে,
পথ না হারায় সেই সনাতন শাশ্বত দর্শন।


এ হউক কবিদের বাজি- রাখিয়া জীবন পণ,
জীবনের মুক্তি, মানুষের মুক্তি, লেখনীর মুক্তি
হউক মুক্তি ভাবনার, আর সাথে-পাবে মুক্তি মন।


কবিদের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ জাতির পরিচয়,
অত্যাচারী, অহংবোধি মানুকে পায় না তো ভয়।
মনুষ্যত্ব বোধ শ্রেষ্ঠ ধর্ম, কবি-দর্শনের সেই তো বর্ম,
জগতের মানুষকে স্মরণ করায়, করিতে মনুষ্য কর্ম।


যদি কোন বন্ধু কভু ভুল করে থাকে,
ভুলের মাশুল ঠিক দিতে হবে তাঁকে,
                 আজ কিংবা কাল;
কবির দর্শন বলে-রাতের শেষে আসবে,
             সেই সুন্দর-সুদ্বীপ্ত সকাল।


১৯শে চৈত্র, ১৪২৪,
ইং ০৩/০৪/২০১৮,
মঙ্গলবার ভোর ৬.৩০মিঃ। B.K.435.