লেখক লিখে কেন?
চর্বিত চর্বন একই ধারায়
আজও বইছে যেন।


ভালোবাসার ঝর্ণা বইছে
সেই আদিম সৃষ্টি হতে;
সৃষ্টি তাহার রূপ রস গন্ধ,
জগৎ মাতায় ছন্দে।


একই কথা লিখে যায় শুধু,
নানান শব্দ ছন্দের তালে;
বঁধুয়া আমার একই রয়ে গেল,
মধুর মনন জালে।


কাম কামনা যৌন যাতনা,
সবই তো আগের মত,
বেহাগের সুরে ভৈরবী রাগে,
গেয়ে ওঠে গান যত।


লেখনীর ধারা চেতনা আনে না;
কষ্ট পেলেই উথলি ওঠে,
চিরন্তন সুপ্ত বারিধারা,
মনের আবেগে ডাকি বারে বারে,
রক্ষা কর গো মা।


দৃষ্টির লেখনী, সৃষ্টির লেখনী,
দেখায় পথের দিশা;
পথ হারানোরা পথ পাবে বলে
লেখনী কাটাবে নিশা।


এক জগত থেকে আরেক জগতে,
সিঁড়ি বেঁধে দেবে মনের আবেগে;
সেই সিঁড়ি বেয়ে তরতর বেগে,
উঠে যাবে নতুন, পুরুষানুক্রমে তারা,
নতুন আলো নতুন বিশ্ব খুঁজে পাক,
আমাদের সেই  উত্তর পুরুষ যারা।


পুরাতন থাক স্মৃতির পাতায়,
ভ্রান্তির বাধা হয়ে;
জটিল ও কঠিন বিভ্রাটের মাঝে,
আনুক সমাধান বার্তা বয়ে।


তবেই লেখনী ধন্য হবে,
বন্যতা যাবে দূরে;
সেই লেখনি জন্ম জন্মান্তর,
দাঁড়াবে আবার ঘুরে।


১৩ই মাঘ, ১৪২৫,
ইং ২৮ শে জানুয়ারী ২০১৯,
সোমবার, বেলা ৮টা।  ৬৭৪তাং ২৮/০১/২০১৯।