ধর্ম-বর্ণ ঈশ্বর নয়, ঈশ্বর মানবতায়।
সংগ্রাম বন্ধু মানুষের তরে,
চালাতেই হবে প্রতি ঘরে ঘরে,
তবেই বাঁচবে ঈশ্বর।


মৌল বিশ্বাস ব্যক্তিস্বার্থ,
জগতে বন্ধু হবেই ব্যর্থ,
তাহাই মানুষের পরমার্থ।


প্রকৃতি মানে না ক্ষুদ্র ভাবনা,
সইতে পারেনা সমষ্টির যাতনা,
তাইতো বারবার ধ্বংস আসে;
দেখে প্রকৃতি  নীরবে হাসে।


এই প্রকৃতিকে আমরা দেখি,
দেখে দেখে কি ই বা শিখি?
আমাদের কর্মকাণ্ডই দুঃখ বয়ে আনে,
শান্তি-স্থিতি ভেসে যায় বাণে।


মায়ের ঘরে জন্ম নিয়া,
                    আমরা চিনলামই না মা;
মায়ের সুখ-শান্তির কথা,
           হতভাগ্য সন্তানরাই ভাবলো না।


আমরা মানুষ আর মানবতাই ধর্ম,
মানুষের সেবাই মানবতার কর্ম,
                              একথা আমরা ভুলে যাই;
মানুষ যদি মানুষ না হয়,
শান্তি খুঁজে পাবে কোথায়?
                              জীবনের বড় দায় সেটাই।


স্বার্থের লোভে দাসত্ব করি,
কালো টাকায় সিন্দুক ভরি,
                             আর ধ্বংসের পথে ধাই;
আমরা নির্বোধ আমরা অমানুষ,
মানুষরূপী ঐ পাপাত্মার ফানুস,
                       কি করে মানবতার গান গাই?


কেউ দেশ ছাড়ে শান্তির খোঁজে,
                    কেউ বিদ্বেষ বা নিজের ক্ষোভে;
কেউ ছাড়ে অর্থের লোভে,
                          সন্তানকে কি তাহাই শোভে?


দেখি ধর্ম-বর্ণের ভাগাভাগি;
                           এমন জীবন কোথায় রাখি;
এই একই দেশে জন্ম নিয়ে,
                          মায়ের আদর পাবো না কি?  


দেখ বাঙালি জাতি আর পাঞ্জাবিরা,
দেশভাগের ফল ভুগছে তারা।
মৌলবাদী মানুষগুলো কানে এবার দিচ্ছে তুলো,
শুনতে চায় না মানুষের দুঃখের কথা,
এটাই তো মানবতার চরম ব্যথা।


মানবতার চেতনায় মানুষ যদি জেগে ওঠে;
মানবতার প্রচার তখন চলবে মুখে ঠোটে।
মানুষ আজ ধ্বংসের মুখে,
নীরব আমরা কোন সুখে?
আবার বলি জাগো মানুষ, জাগো মানবতা,
আমরা পালন করবো না আর নীরবতা।


ওই ঈশ্বরের শপথ নিয়ে,
আমরা সবাই উঠবো গেয়ে,
                                সেই মানবতার গান;
উঠুক জেগে সত্যের জগৎ,
ফিরে আসুক শান্তির মগধ,
                            ডাকুক মানবতার বান।


২৪ শে ভাদ্র, ১৪২৬,
ইং ১১/০৯/২০১৯,
বুধবার, বেলা ৯টা।  ৭৭৭, ১৩/০৯/২০১৯।