ভুখন্ড ভিত্তিক যদি শুধুই শেয়াল থাকে,
আর তারা যদি দিনরাত হুক্কাহুয়া ডাকে,
               বলতো কেমন হবে?


আর যদি কোথাও থাকে শুধুই বাঘ,
ছাগল ভেড়া শুয়োরের দল করবে না কি রাগ?
বাঘেরা সব ছিঁড়ে খাবে-
শিয়াল কুকুর ছাগল ভেড়া কোথায় যাবে?


আজ ভাবছি আমি বসে, মদ ভাবনার, রসে;
জগৎটা ক্রমে ক্রমে যাচ্ছে বুঝি ধসে।


একই মতের মানুষগুলোর যদি এক এক ভূখণ্ডে থাকে,
তবে সেই ভূখণ্ডে আর কোনদিন শান্তি আসবে তাতে?


কামার, কুমার, চাষাভূষা না থাকে রে সাথ,
রঙের সাথে বে রং আর দিনের সাথে রাত,
তবে দুদিনেই মিটে যাবে সৃষ্টিকর্তার সাধ।


বৈচিত্র এই সৃষ্ট জগত অপার মহিমায়
ভিন্নমতের মানুষ এল আপন ভাবনায়।


নিত্যনূতন সৃষ্টি এলো, অপূর্ব এই জগত হল,
সূর্যালোকে শক্তি দানে, আঁধার রাতি শান্তি আনে
আমরা মানুষ বুঝলাম কি তার মানে?


মতে মতে হানাহানি যাদেরকে আমরা ধর্ম মানি
তাহা ছিল মানুষরূপী মহামানবের শান্তির বাণী।


চেতন শক্তি আনে ভক্তি তাতেই ঘটে মানুষের মুক্তি,
             তাই মান-হুঁশের মানুষ মোরা;
ভুলে গেলাম সেসব কথা, সৃষ্টিকর্তার মনের ব্যথা,
              আজ শান্তি হারা জগত, ধরা।


তোমার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির এবার দেখো কৃষ্টি
তাদের মান-হুঁশের কেমন দৃষ্টির বৃষ্টি।
                          
      
    বুঝি ধ্বংস হবে তোমার সৃষ্টি ওরে;                    
     ওহে সৃষ্টিকর্তা- তুমি মানুষ বল কারে?


বাংলা, ৪ঠা পৌষ, ১৪২৬,
ইং তাং ২১/১২/২০১৯,
শনিবার, সকাল ৮টা।৮৬৬, ২১/১২/২০১৯।