কানা-কানি নয়-সে ‘ধ্বনি’
গুনির নামে গুনগুনানী,
           শুনতে যে পাই দিকেদিকে;
গুরু- ‘রাম-রহিমের’ একি খেলা,
ডুবলো যে তার প্রেমের ভেলা।
          আর নাম ছড়াল চারিদিকে।


আরে! কি হলো রে?
         কোথায় চলছিস বুক ফুলিয়ে?
শুনিস নাই!ওহো কচুপোড়া!
ধর্ম-অর্থ আর কাম-মোক্ষ,
           সব ফেলেছি আজ গুলিয়ে।


ওরে- পড়িস নাই! তুই দেশের কথা?  
           পরাণে তোর লাগবে ব্যথা!
কোন দেশে-আমরা বাস করি রে?
       এ সব-ছোটখাটো বোনাস ভাতা।  


নাম শুনেছিস- রাম-রহিমের?
           বাবার নামে সব মাথা মোটা-
হরিয়ানার মানুষ আর পাঞ্জাবীরা,
          তাকে খাবার দিত গোটা গোটা।


গুরু- তাদের খেয়েছে,সব ছেলে পুলে,
  তাই তো-গুরুর ভুঁড়ি উঠছে দুলে।
          শাসকদের বাবা হলো দিনে দিনে,
           ঐ - দুই সরকারের অনুদানে।


দেহের ব্যবসা, নারীর ব্যবসা,
       উঠলো গড়ে রাজা-গুরুর ঐ ভবনে;
সিনেমার ব্যবসা, অস্ত্রের ব্যবসা,
       মিথ্যাচারী শাসক বাবার কুটিল ভানে।


এমন গুরুর সংখ্যাধিখ্যে-
        মৌলবাদের আখড়া গড়ে এই ধরাতে;
কোথায় রাজা? কোথায় প্রজা?
        সবাই ব্যস্ত- আখেরের গুটি সাজাতে।


রাজার রাজা রাম-রহিমরা-‘তাই তো রাজা’,
আমার সরকার, তোমার সরকার,
              কে দেবে কারে সাজা?
২৬শে ভাদ্র, ১৪২৪,  
ইং ১২/০৯/২০১৭,
মঙ্গলবার,বিকেল ৫টা।